India Vs Bangladesh: একেবারে বাংলাদেশের ঘাড়ের কাছে ঢুকে গেল...ইউনূসকে মুখের উপর জবাব, নর্থ-ইস্ট নিয়ে বড় কাজ করে ফেলল ভারতীয় রেল!
- Published by:Satabdi Adhikary
- Reported by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৫১.৩৮ কিলোমিটার। এটি নির্মাণে প্রায় ৫০২১.৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রকল্পের ৯৭% কাজ এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পটি চারটি ভাগে বিভক্ত। বৈরাবি থেকে হোর্তোকি পর্যন্ত দূরত্ব ১৬.৭২ কিমি। হোরাতোকি থেকে কাওয়ানপুই পর্যন্ত দূরত্ব ৯.৭১ কিমি। কাওয়ানপুই থেকে মুয়ালাখাং পর্যন্ত দূরত্ব ১২.১১ কিমি। মুয়ালাখাং থেকে সাইরাং (আইজল) ১২.৮৪ কিমি।
ক’দিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু চেনাব রেলব্রিজের উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তার উপর দিয়ে ছুটেছে বৈষ্ণো দেবী কাটরা টু শ্রীনগর বন্দে ভারত ট্রেন৷ পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তৈরি হয়েছে সেই রেলপথ৷ গোটা প্রকল্পকেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অসাধারণ সাফল্য হিসাবে মনে করা হচ্ছে৷ এবার জম্মু ও কাশ্মীরের সেই সাফল্যই প্রতিধ্বনিত হতে দেখা গেল উত্তর-পূর্বে৷ Generated image
advertisement
advertisement
সেই বাংলাদেশের ঠিক কান ঘেঁষেই তৈরি হচ্ছে উত্তরপূর্বে নতুন রেলপথ৷ এই রেল ট্র্যাকও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি৷ কঠিন, পাহাড়ি এলাকায় ট্রেন পথ তৈরি করতে এই ট্র্যাকে তৈরি করতে হয়েছে ৪৮টি সুড়ঙ্গ, ৫৫টি বড় সেতু এবং ৮৭টি ছোট সেতু। এছাড়াও, পথে রয়েছে ৫টি রোড ওভারব্রিজ এবং ৬টি রোড আন্ডারব্রিজ। এই ট্র্যাকে নির্মিত ১৯৬ নম্বর সেতুটি প্রায় ১০৪ মিটার উঁচু, যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার উঁচু। Generated image
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারতের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে। এবার সেই রেলপথ পৌঁছে গেল মিজোরামের রাজধানী আইজলে৷ বুধবার এই ট্রেনের প্রথম স্পিড ট্রায়ালও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘কানেক্ট নর্থ ইস্ট’ মিশনের একটি অংশ, যার অধীনে উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্যকে রেলপথে সংযুক্ত করা হচ্ছে। আইজল পর্যন্ত ট্র্যাকটি স্থাপন করা হয়েছে এবং আজ এই নতুন ট্র্যাক দিয়ে একটি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করেছে যা সম্পূর্ণ সফল। Generated image
advertisement
বাংলাদেশ এবং মায়ানমার (বার্মা) আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় এই এলাকা সেনাবাহিনীর জন্যও এই এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, এই রেলপথের কৌশলগত গুরুত্বও অনেক বেশি। এখন সেনাবাহিনী বা ত্রাণ সামগ্রী এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দ্রুত এবং সহজেই পরিবহণ করা যাবে। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে, মিজোরামের মানুষ কেবল দেশের অন্যান্য অংশের সাথে আরও ভাল যোগাযোগ পাবে না, বরং এটি বাণিজ্য, পর্যটন এবং কর্মসংস্থানের জন্য নতুন পথও খুলে দেবে। Generated image
advertisement
রেল কর্মকর্তাদের মতে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং নিরাপত্তা যাচাইয়ের পর, শীঘ্রই এই রুটে যাত্রীদের জন্য ট্রেন চালু করা হবে। এর ফলে, মিজোরামের মানুষ দিল্লির মতো বড় শহরগুলিতে সরাসরি ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই রেলপথের মাধ্যমে, মিজোরাম উত্তর-পূর্বের চতুর্থ রাজ্য হয়ে উঠেছে যা সম্পূর্ণরূপে রেল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত। এর আগে, আসাম, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশ রেলপথে সংযুক্ত হয়েছে। এই বিশেষ উপলক্ষে, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইট করেছেন, ‘মিজোরামের রাজধানী (আইজল) কে ভারতের প্রতিটি হৃদয়ের সাথে সংযুক্ত করা হচ্ছে! লামডিং ডিভিশন এনএফ রেলওয়ের বৈরাবি-সাইরাং নতুন ব্রডগেজ লাইন প্রকল্পের সফল গতি পরীক্ষা।’ Generated image
advertisement
এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৫১.৩৮ কিলোমিটার। এটি নির্মাণে প্রায় ৫০২১.৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রকল্পের ৯৭% কাজ এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পটি চারটি ভাগে বিভক্ত। বৈরাবি থেকে হোর্তোকি পর্যন্ত দূরত্ব ১৬.৭২ কিমি। হোরাতোকি থেকে কাওয়ানপুই পর্যন্ত দূরত্ব ৯.৭১ কিমি। কাওয়ানপুই থেকে মুয়ালাখাং পর্যন্ত দূরত্ব ১২.১১ কিমি। মুয়ালাখাং থেকে সাইরাং (আইজল) ১২.৮৪ কিমি।









