এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নূর জামাল হোসেন জানান, “এই পথে মাথাভাঙা, নিশিগঞ্জ , সাতমাইল এলাকা চলাচল করতে অনেকটা সুবিধা হয়। নাহলে রাজ্য সড়ক দিয়ে অনেকটা ঘুরপথে যেতে হয়। এতে যেমনি সময় লাগে বেশি, তেমনি খাটনিও হয় অনেকটাই। ফলে মানুষের এই পথে চলাচল চলে বাঁশের সাঁকো থাকলে। তবে বর্তমানে এই সাঁকো নদীর জল বাড়লে ভেঙে যায়। আর এতেই সমস্যায় পড়েন বহু মানুষ। প্রায় ১৫ কিলোমিটারের মতন ঘুরে চলাফেরা করতে হয় মানুষকে। তবে নদীর জল বাড়লে সাঁকো কিংবা নৌকার ব্যবস্থা থাকে না এখানে।”
advertisement
আরও পড়ুন: মাছ ধরা হবে এবার আরও সহজ! নদিয়ার প্রতিটি ব্লকে মৎস্যজীবীদের জন্য হবে প্রশিক্ষণ
এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ সাহানি জানান, “বর্ষার সময় নদীর জল বেড়ে গেলে তখন অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো ভেঙে যায়। তখন কিছুটা সময় নৌকা দিয়ে পারপার করতে হয়। তবে এবার বর্ষার আগেই সেতুর এই দশা। মূলত পাহাড়ে বৃষ্টির কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।” এলাকার আরেক বাসিন্দা রামরকাশ রায় জানান, “দিনে প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ মানুষ চলাচল করে এই পথে। তবে এই পথ বন্ধ হলে সকলের সমস্যা বেড়ে যায়। এছাড়া এই পথ বন্ধ থাকলে এলাকার দোকান গুলির ব্যবসাও ক্ষতির সম্মুখীন হয় অনেকটাই।”
দীর্ঘ সময় ধরে এই জায়গায় স্থায়ী সেতুর দাবি রয়েছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। তবে আজও এই সেতুর দাবি পূরণ হয়নি। তাইতো প্রতি বছর একটা বড় অংকের টাকা খরচ করে তৈরি করতে হয় বাঁশের সাঁকো। তারপর বেশ কিছুটা সময় এই সাঁকো রক্ষণাবেক্ষণ করে ফাঁসির ঘাট কমিটি। তারপর বর্ষা এলেই সেই সাঁকো ভেঙে দেয় নদী। তখন এতো মানুষের ভোগান্তির চরমে ওঠে।
Sarthak Pandit





