Siliguri Mirik Route Reopen: ১৬ দিনেই খুলল মিরিক-দুধিয়া অস্থায়ী সেতু, স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু, নয়া স্থায়ী সেতু নির্মাণ কতদিনে? জানুন
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
Siliguri Mirik Route Reopen: ১৬ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয় এই ৪৬৮ মিটার দীর্ঘ সেতু। এতে ব্যবহার হয়েছে ১২০০ মিলিমিটার ব্যাসের ১৩২ হিউম পাইপ, যার উপর তৈরি হয়েছে ৭২ মিটার দীর্ঘ কজওয়ে। সেতুর প্রস্থ ৮ মিটার, যাতে ছোট থেকে মাঝারি যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
*শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্য: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল অবশেষে। ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে ধ্বংসপ্রাপ্ত দুধিয়া সেতুর জায়গায় মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে একটি বিকল্প হিউম পাইপ ব্রিজ। সোমবার থেকেই সেই সেতুর উপর দিয়ে স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু। ফলে ফের শিলিগুড়ি ও মিরিকের মধ্যে পুনঃস্থাপিত হল গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
advertisement
*৫ অক্টোবর বালাসন নদীর উপর অবস্থিত দুধিয়া সেতুটি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেঙে পড়েছিল। ১৯৬৫ সালে নির্মিত ওই পুরনো লোহার সেতুটি ছিল শিলিগুড়ি থেকে মিরিক ও কার্শিয়াং পর্যন্ত যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সেতুটি ভেঙে পড়ার পর পুরো এলাকা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা পড়েছিলেন চরম দুর্ভোগে। শিলিগুড়ি থেকে মিরিক যেতে যেখানে আগে সময় লাগত দেড় ঘণ্টা, সেখানে বিকল্প পথ ধরে যেতে হচ্ছিল প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা, তাও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে।
advertisement
*এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উদ্যোগ নেন দ্রুত বিকল্প সেতু তৈরির জন্য। উত্তরবঙ্গে এসে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে তিনি নির্দেশ দেন, "দুধিয়ায় অস্থায়ী সেতু তৈরি করতে হবে অবিলম্বে, যাতে মানুষের কষ্ট কমে।" সেই নির্দেশের পরই রাজ্য পূর্ত দফতর ও জলসম্পদ দফতরের যৌথ তত্ত্বাবধানে শুরু হয় হিউম পাইপ ব্রিজ নির্মাণের কাজ।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
*একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৬৫ সালের সেই পুরনো সেতুর স্থানে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ₹৫৪ কোটি টাকায় নতুন একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। নতুন সেতুর কাজ পুরোদমে চলছে এবং আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই সেটি সম্পূর্ণ হবে। নতুন সেতু নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় স্থায়ী স্থিতিশীলতা ফিরবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
