এতে রোজগার বেড়েছে রেশম শিল্পীদের। অন্যদিকে রেশম চাষের উপর নির্ভরশীল বাঁশের উপকরণ প্রস্তুতকারক হস্তশিল্পীদের প্রয়োজনীয়তা দিনে দিনে কমছে। চন্দ্রোকি, ডালা, ঝুড়ি, বাঁশের ট্রে ইত্যাদি বাঁশের তৈরি উপকরণ একসময় রেশম চাষে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। আর এই উপকরণ তৈরি করেই যথেষ্ট ভাল রোজগার করতেন হস্তশিল্পীরা। তবে বর্তমানে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্রের ব্যবহারের ফলে চাহিদা হারিয়েছে এই উপকরণগুলি। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন হস্তশিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: চা-পান দোকানের আড়ালে এ কী চলছিল! পুলিশ আসতেই সব জারিজুরি ফাঁস
এই প্রসঙ্গে এক হস্তশিল্পী বলেন, আগে এই কাজ করে আমাদের ভাল রোজগার হত। কিন্তু বর্তমানে জেলার রেশম শিল্পীরা ভিন রাজ্যের রেশমের কলকারখানায় কাজ করতে চলে যাচ্ছে। যার ফলে ক্রমশ বাঁশের তৈরি উপকরণের চাহিদা কমছে। এই কাজ করে আগের মত রোজগার হচ্ছে না। ভিন রাজ্যে কাজে যেতে না পারায় পেটের দায়ে বাড়িতে বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, রেশম শিল্পীদের জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক স্কিম রয়েছে। এই স্কিমগুলোর মাধ্যমে রেশম চাষি ও শিল্পীরা আর্থিকভাবে সুযোগ-সুবিধা পান। পাশাপাশি জেলার এই হস্তশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হবে।