গুজরাটের এই স্কুলেই এক সময় পড়াশোনা করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে চলা ‘প্রেরণা’ কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতির পরিচয় গড়ে তোলা এবং মেলবন্ধন ঘটানো। সূত্রের খবর, সুদুর গুজরাটের ভাদনগর স্কুলে মোট সাত দিনের আবাসিক ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করে জেলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরবেন বালুরঘাটের দুই পড়ুয়া।
advertisement
আরও পড়ুন : মুম্বইয়ের ব্যস্ততা দুর্গাপুরের কুমোরটুলিতে! শিল্পাঞ্চলে বিশ্বকর্মার সঙ্গে টক্কর সিদ্ধিদাতার
পাশাপাশি ওই রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে রাজ্যের সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছে বালুঘাটের এই দুই পড়ুয়া। জহর নবোদয় স্কুলের মাধ্যমে আগে থেকেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। যাদের মধ্যে মাত্র দুজনই সুযোগ পেয়েছে গুজরাটে যাওয়ার।
আরও পড়ুন : জলযন্ত্রণা শেষ, কিন্তু নতুন বিপদ শুরু! রাস্তায় ‘মৃত্যুফাঁদ’ ঘাটালে
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সোমসিন্ধু একদম ছোট্ট বয়স থেকেই মার্শাল আর্ট ও যোগা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছে। যার ফলও পেয়েছে হাতে নাতে। বিভিন্ন বিদেশ ভ্রমণ করেছে, জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। বারবার জিতেছে। অন্ততপক্ষে ২০০টিরও বেশি ইভেন্টে এবং সমস্ত প্রাইজ তাঁর বাড়িতে সুসজ্জিত অবস্থায় রেখেছেন তাঁর বাবা। ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত তিনিও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সুদূর গুজরাটে গিয়ে যোগ-অভ্যাস বিষয়েই অংশগ্রহণ করবে সোমসিন্ধু। অন্যদিকে, ঈশানী চক্রবর্তী ৫ বছর বয়স থেকেই রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে চর্চা করেছে। সে গুজরাটের এই স্কুলে গিয়ে রবীন্দ্র সংগীত শোনাবে গানের মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে এই দুই পড়ুয়া। মোদির পাঠশালায় গিয়ে জেলার মান উজ্জ্বল করে আসবে তারা, এমনটাই আশা করছে এই দুই পড়ুয়ার পরিবার।