বাঙালির পার্বণগুলির সময় চাহিদা ভাল থাকার কারণে দামও ভাল পেয়ে থাকেন। বাজারে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা অবধি দাম পাওয়া প্রতি পিসে। একসঙ্গে বেশ কয়েকটা তৈরি হওয়ার পরেই তা বাজারজাত করা হয়। তাই পুজোর সময়গুলিতে নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত পরিশ্রম করে কুশের আসন তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন শ্যামলবাবু।
আরও পড়ুন : ভিনরাজ্যের প্যান্ডেলেও আসানসোলের দাপট! রাতদিন এক করেছেন শিল্পীরা, চিন্তা শুধু বৃষ্টি
advertisement
শ্যামল বাবুর কথায়, “কাজের শুরুতে তেমন চাহিদা না থাকলেও, বর্তমানে প্রতিটি পুজোতেই কুশের আসনের চাহিদা বাড়েছ। বাজারজাত করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। তবে, এই কাজের পিছনে রয়েছে হাড় ভাঙা পরিশ্রম। ফুল হওয়ার আগেই মাঠে গিয়ে কাশ ফুলের ঘাস কেটে এনে তা বাড়িতে ভালভাবে শুকিয়ে নিতে হয়। তারপর সাইজ অনুযায়ী কেটে বাঁশ দিয়ে তৈরি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে বাঁধতে হয় আসনের মাপে। এইভাবেই তৈরি হয় কুশের আসনগুলি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দিন দিন এই কুশের আসনগুলির চাহিদা বেড়েই চলেছে। তাই শ্যামল বাবুর পারদর্শীতা দেখে আশেপাশের মহিলারাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। ভ্যান চালানোর পাশাপাশি তপ্ত রোদে ঘাস কেটে কুশের আসন বানিয়ে পেটের খিদে মেটাতে ভোর থেকেই যুদ্ধ শুরু করেন তিনি। ভ্যান চালিয়ে যেটুকু অর্থ উপার্জন হয়, তাতে সংসার চালানো কষ্টের। তাই সংসার সামলাতে স্ত্রীর পাশে কাঁধে কাঁধ রেখে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে প্রতিদিন সকাল থেকেই এই কাজে নিজেকে নিয়োগ করেন শ্যামল রায়।