এ কে গোপালন কলোনি খাড়ি, শ্রীমন্তের খাড়ি, খিদিরপুর খাড়ি ও ডাঙ্গা খাড়ি এই চারটি খাড়ির মধ্যে ডাঙ্গা খাড়িরই এক-দুবার পরিষ্কার ও খনন কাজ করা হয়েছে। তাও দীর্ঘ বছর আগে বাকি তিনটি খাড়ি একেবারেই উপেক্ষিত। ফলে খাড়ির গভীরতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কচুরিপানা থেকে শুরু করে গজিয়ে উঠেছে বড় বড় গাছ ঝোপ জঙ্গল, আবর্জনা। আর এই সমস্ত খাড়িগুলির মধ্যে বর্ষাকালে নদীর জল ঢুকে পড়ে। আর সেই জল সঠিক সময়ে না বের হওয়ার ফলে খাড়িপারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরে প্রতিবছর।
advertisement
আরও পড়ুন: রোজগারের নতুন দিশা! পুকুর থাকলেই মিলছে বিনামূল্যে মাছ! দুর্দান্ত পদক্ষেপ প্রশাসনের
বালুরঘাট পুরসভার পক্ষ থেকে জানা যায়, রাজ্য সরকারের কাছে খাড়ি সংস্কারের বিষয় নিয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল জেলা প্রশাসন ও জেলা ইরিগেশন বিভাগের মাধ্যমে। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার বার্ষিক ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে খাড়িগুলি থেকে জঞ্জাল অপসারণের জন্য। এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া বালুরঘাটে। অপরদিকে পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, শুধু মাত্র পরিষ্কার করাই নয়, খাড়িগুলি থেকে অপসারিত জঞ্জালের যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই সমস্ত খাড়িগুলি নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে পুনরায় আত্রেয়ী নদীতে মিশেছে। বালুরঘাট শহরের শ্রীমন্তের খাড়ি ও খিদিরপুর খাড়ির অবস্থা সবথেকে উদ্বেগজনক। বহু বছর ধরে খাড়ির কোন সংস্কার না হওয়ায় তা মজে যেতে বসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন শীঘ্রই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হোক।
সুস্মিতা গোস্বামী





