এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র জানান, “রোগী ও তাদের পরিজনরা রাত্রিবেলা থাকা ও খাবারের অভাবে চরম সমস্যার মুখোমুখি হন। তাই মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে এই রাত্রি নিবাসে ৮০ টাকায় থাকা ও স্বল্প মূল্যে উন্নতমানের নতুন ক্যান্টিন পরিষেবা তাঁদের সেই সমস্যা অনেকটাই দূর করবে। সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়ার ব্যবস্থা রাত্রিকালীন পরিষেবার বড় দিক। পুরসভার অঙ্গীকার, বালুরঘাটবাসীর জন্য উন্নততর স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং পরিপূরক পরিষেবা নিশ্চিত করা।”
advertisement
তিন দিক সীমান্ত বেষ্টিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের উপর সিংহভাগ মানুষ নির্ভরশীল। এর ফলে প্রতিদিন প্রচুর রোগীর আনাগোনা হয়ে থাকে এই জেলা হাসপাতালে। হরিরামপুর, কুশমন্ডি, বংশীহারী, তপন, কুমারগঞ্জ সহ একাধিক এলাকার মানুষ জেলা হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসলে রোগীর হাসপাতালে জায়গা হলেও পরিজনদের একপ্রকার বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটতে বাধ্য হতেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আশেপাশে যে ধরনের হোটেল রয়েছে তাতে রাত্রি যাপন করা সাধারণ মানুষদের পক্ষে যথেষ্ট ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। সেইসব কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত এই রাত্রি নিবাসে স্বল্প মূল্যে রাত্রিকালীন থাকা ও ক্যান্টিন পরিষেবার এই উদ্যোগকে ঘিরে রোগী ও পরিজনদের মধ্যে স্বস্তি ও সন্তোষের আবহ দেখা গেছে।
সুস্মিতা গোস্বামী