তাঁর মূল উদ্দেশ্যই হল, বিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি ও নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তাই ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থীরা। এদিন ‘পাখির ডাকে সকাল হল’ গানের সঙ্গে, শঙ্খ ঘোষের ‘একলা’ কবিতার আবৃত্তির সঙ্গে গলা মেলাল নবম শ্রেণীর প্রিয়া দেবনাথ, সুজিত দেবনাথ, দশম শ্রেণীর নয়ন বর্মণরা। শেষে সবাই মিলে শপথ নিল প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসার।
advertisement
আরও পড়ুন : শিক্ষক দিবসে পুরস্কারের বন্যা! একসঙ্গে ৬ শিক্ষক পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মান! এই প্রতিষ্ঠান রাজ্যের গর্ব
এবিষয়ে শিক্ষক তুহিন বাবু জানান, “অযোধ্যা কালিদাসী বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীরা যে যে গ্রাম থেকে আসে, প্রাথমিক ভাবে সেখানেই ভ্রাম্যমাণ বিদ্যালয় বা মোবাইল স্কুল বসবে। মোবাইলের টানে, বাড়ির কাজে, আর্থিক সমস্যার সুরাহার কারণ সহ বিভিন্ন কারণে ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে। ধীরে ধীরে তা বিদ্যালয় ছুটের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সেটা আটকাতে এই উদ্যোগ। আজ কাশিম্বী ও খোলাপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হল। এরপরে অন্য গ্রামে গ্রামে হবে। এটা ধারাবাহিক ভাবে হবে বিদ্যালয়ের সময়ের বাইরে অথবা ছুটির দিনে।”
আরও পড়ুন : কে বলেছে স্কুল মানেই চার দেওয়াল? নেই বেঞ্চ-টেবিলও! প্রকৃতির কোলে শেখার আনন্দে মাতোয়ারা শিশুরা
ভ্রাম্যমাণ বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জ্যোতি দেবনাথের মা শিখা বর্মণ দেবনাথ। তিনি জানান, “গ্রামীন শিক্ষার্থীদের জন্য তুহিন স্যারের এই উদ্যোগ খুব ভাল দিক। অভিভাবক হিসেবে আমরাও চেষ্টা করি ছাত্রছাত্রীরা যেন নিয়মিত বিদ্যালয়ে যায়। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র ছাত্রীদের যাতে অন্যান্য দিকগুলি তুলে ধরা যায়, তার চেষ্টা অবশ্যই করবেন তাঁরা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিন এই দুই গ্রামের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অভিভাবিকাদের সঙ্গেও কথা বলা হয়। পাশাপাশি অনুরোধ জানানো হয়, একজন শিক্ষার্থীও যেন বিদ্যালয় প্রতি বিরূপ না হয়। অথবা স্মার্টফোনে আসক্ত না হয়ে মোবাইল স্কুলে এসে তাদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি করতে পারা।