এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার পৌরাধ্যক্ষ অশোক মিত্র জানান, “আধুনিক নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হয় প্রতিনিয়ই। ক্লিন বালুরঘাট, গ্রিন বালুরঘাট লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। অত্যাধুনিক মানের এই গাড়ির মাধ্যমে রাস্তা ঝাড়া, মোছা ও পরিষ্কার সমস্তটাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। শহরের মূল রাস্তাগুলি পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই গাড়িটি।”
আরও পড়ুন: ১৩ কোটি টাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর পেল রিটেল মার্কেট কমপ্লেক্স! দেখে নিন মিলবে কি কি সুবিধা
advertisement
বালুরঘাট পুরসভার দাবি, শহরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এই মোবাইল ভেহিকেল একটি কম্বাইন্ড প্রোজেক্ট। আধুনিক প্রযুক্তির এই গাড়ির সামনেই রয়েছে রোটেটিং ঝাড়ু। শহরের রাস্তা দিয়ে যেতে সমস্ত ধুলো, বালি সহ সামান্য আবর্জনা যার মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলা হবে। গাড়ির মাঝ বরাবর রয়েছে জল ছড়িয়ে দেওয়ার যন্ত্র। তার সঙ্গেই সংযুক্ত আছে মুভেবল সিনথেটিক কাপড়ের যন্ত্র। যা দিয়ে জলের সাহায্যে রাস্তা মুছে পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখানেই শেষ নয়। গাড়ির শেষ প্রান্তে লাগানো রয়েছে ভ্যাকিউম সাকশন পাইপ। কোথাও মাত্রাতিরিক্ত আবর্জনা নজরে পড়লে পুরসভার কর্মী সেই বড় মাপের পাইপ ব্যবহার করে রাস্তা থেকে আবর্জনা টেনে গাড়ির ভেতর ভরে নেবেন। আবর্জনার সঙ্গে সরাসরি কোনও সংস্পর্শই ঘটবে না কর্মীদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহরের রাস্তার আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য বালুরঘাট পুরসভার এই কাজে প্রচুর সাফাই কর্মী থাকলেও অনেক সময় শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঝাড় দেওয়ার পরেও পরিচ্ছন্নতা মেলে না বলে অভিযোগ ওঠে। এবার তারই মুশকিল আসান করল পুর কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার অর্থ বরাদ্দে এই স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। যে গাড়িতে একইসঙ্গে সাফাইয়ের তিনটি কাজ করা হবে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
সুস্মিতা গোস্বামী