এই ঘটনার পরেই রাজ্য সরকারের তরফে শাস্তিমূলক একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আত্রেয়ী নদীতে ড্যাম নির্মাণের কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সেচ দফতরের ছয়জন ইঞ্জিনিয়ারকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাঁধ নির্মাণে নিয়োজিত এজেন্সির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে। এছাড়া, ঘটনার দিন নিজের কার্যালয়ে না থাকায় শোকজ করা হয়েছে চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে। সেই সঙ্গে রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে তা রাজ্য সরকারকে দ্রুত রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আস্ত গাড়িটা ভ্যানিশ! নিমেষে হয়ে গেল…! ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ, বালুরঘাটে হলটা কী?
খরার মরসুমে প্রায় জল শূন্য অবস্থায় থাকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত আত্রেয়ীর বিস্তৃর্ণ এলাকা। এই নদীর জলস্তর স্বাভাবিক রাখতে নদীর বুকে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দে কাজটি শেষ হয় ২০২৩ সালে। তবে, ড্যাম উদ্বোধনের এক বছর পরেই ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ড্যামের পশ্চিমপ্রান্তে সিঁড়ি সহ বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে যায়, যার মেরামতি চলছিল। এরমধ্যেই ড্যামের ৪০ ফিট কংক্রিটের অংশ ভেঙে তলিয়ে যায়, যা নিয়েই রাজ্যের এই কড়া পদক্ষেপ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই দিনের প্রশাসনিক সভা শেষ করে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, সেচ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে এই বাঁধ নতুন করে নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৩৩ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হওয়া বাঁধ ভেঙে গেল কেন? দায়ী কে বা নতুন করে কবে বাঁধ তৈরি করা হবে! কোথায় বাদ তৈরি করা হবে! সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের মোহনপুর এলাকায় তৈরি হওয়া রাবার ড্যামকে নির্দেশ করতে চাইছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জল পায় না বলে তিনি জানান। বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর উপরে ড্যাম ভেঙে যাওয়ার পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সুস্মিতা গোস্বামী





