গত নভেম্বরে প্রয়াত হন অশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য৷ স্ত্রীর প্রয়াণের পর মানসিক ভাবে ভেঙেও পড়েছিলেন অশোকবাবু৷ পুরভোটে লড়তে চাননা বলেও দলকে জানিয়েছিলেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য দলীয় নেতৃত্বের অনুরোধ ফেলতে না পেরেই ভোট লড়তে রাজি হন অশোকবাবু৷
আরও পড়ুন: দু' জনেরই ফিরে আসার লড়াই, শিলিগুড়িতে সব নজরে অশোক- গৌতম
advertisement
এ দিন সকালে শিলিগুড়ির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি বয়েজ স্কুলে ভোট দিতে আসেন অশোক ভট্টাচার্য৷ ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সিপিএম প্রার্থী৷ নিজেই বলেন, '
একা একা এসে ভোট দিলাম৷ সেই জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে৷ আমার প্রয়াত স্ত্রীর গলায় মালা দিয়ে ভোট দিতে এসেছি৷'
আরও পড়ুন: মাকে প্রার্থী করল তৃণমূল, রাগে নির্দল হয়ে দাঁড়ালেন ছেলে! কোচবিহারে জোর লড়াই
এর পরেই অবশ্য নিজেকে সামলে নিয়ে অশোকবাবু বলে, 'যাই হোক, এই ভোট এখনও শান্তিপূর্ণ ভাবেই হচ্ছে৷ শিলিগুড়ির একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি আছে৷ যার যাঁকে খুশি ভোট দিক৷ আমরা চাইনি এখানে কলকাতার মতো কিছু হোক৷ এখনও পর্যন্ত মানুষ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে৷ আমার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ছোটখাটো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা নিয়েছেন৷ তবে পুলিশি ব্যবস্থা আর একটু জোরদার হলে ভাল হত৷'
সিপিএম নেতার অবশ্য দাবি, শিলিগুড়িতে মোটের উপরে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও শাসক দলের মধ্যে ঔদ্ধত্য দেখা গিয়েছে৷ তৃণমূলের এই ঔদ্ধত্য, অহংকারের বিরুদ্ধেই মানুষ মত প্রকাশ করবেন বলে আশাবাদী অশোক৷