একসময় উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ জীবনের গর্ব ছিল এই শোলা শিল্প। কিন্তু এখন তা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে ষাইটোল, বিষহরি শিল্পকলা বা মনসা, মা কালী, মানান ফটো ইত্যাদি শোলার জিনিসপত্র বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন এই শিল্পীরা। দামও খুব বেশি নয়, কোথিও ৫০-৬০ টাকা, কোথাও ১০০ টাকা পান।
আরও পড়ুন: গান্ধিজি’র লবণ সত্যাগ্রহে বাংলার প্রথম শহিদ কারা জানেন? এই দুই তরুণের কথা আপনারও অজানা
advertisement
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে, বিশেষ করে রাজবংশী সমাজে মনসা বা বিষহরি পুজোয় এই শোলার শিল্পকর্মের চাহিদা থাকে। পাশাপাশি সারা বছরই বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে শোলার ব্যবহার হয়। তবে বছরের এই সময়ে চাহিদা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। তবে এই শোলা শিল্পে অস্তিত্ব আজ সঙ্কটের মুখে। নতুন প্রজন্ম সেভাবে আসছে না এই পেশায়।
শোলা শিল্পের এই সঙ্কট প্রসঙ্গে পুরনো শিল্পীরা জানিয়েছেন, এখন আর এই শিল্পে স্থায়ী জীবিকা সম্ভব নয়। সেই কারণেই নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারিয়েছে। তবে এখনও যে সকল পুরনো শিল্পী এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের তুলির ছোঁয়ায় ফুটে ওঠে উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতি ও বিশ্বাস।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মালিপাড়া সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য গ্রামেও এই শোলা শিল্পীরা হাট-বাজারে নিজেদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করছেন। তাঁদের নিখুঁত হাতের কাজ এখনও মানুষের নজর কাড়ে। হয়তো সেই আগের বাজার নেই, কিন্তু উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যের মশাল তাঁরা এখনও বহন করে চলেছেন নীরবে, ধৈর্য আর ভালোবাসা দিয়ে।