মানুষ কিংবা সাধারণ প্রাণীদের চিকিৎসালয়ের মতোই বন্যপ্রাণ চিকিৎসালয় উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় গরুমারা জাতীয় উদ্যানের নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার। এখানে একদম গভীর রাতে যদি কোনও বন্যপ্রাণী আহত হয়ে পড়ে, তা হলে তা নিয়ে দৌড়াতে হয় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন- ‘ফোঁসফোঁস’ নেই, কিন্তু ঘরেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছে ‘সাপ’! কী করে বুঝবেন? শিখে নিন ‘ট্রিক’
advertisement
নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টারের কর্মকর্তারা জানালেন, আহত প্রাণীটি পেলে প্রথমে তার অবস্থা জানিয়ে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। পেছনে থাকে সারা রাতের কসরত। আহত বাঘ, গণ্ডার, হাতি বা অন্যান্য প্রাণীর চিকিৎসা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করা হয়।রাজীব দে, জলপাইগুড়ির সহ বনাধিকারিক, জানান, \”বড় প্রাণীযেমন হাতি বা গণ্ডার আহত হলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া একটু ভিন্নভাবে করা হয়। এগুলোর জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ চিকিৎসক দল এবং বিশাল পরিসরের চিকিৎসা সুবিধা। জঙ্গল থেকে বড় কোনও প্রাণীকে নিয়ে আসা হলে, প্রথমে শারীরিক অবস্থা দেখে উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করা হয়।\”
আরও পড়ুন- স্নান করার সময় শরীরের কোন ‘অঙ্গে’ প্রথমে জল ঢালা উচিত? শীতে আপনার দারুণ কাজে লাগবে…!
গরুমারা জাতীয় উদ্যানে এসে এই ধরনের বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা এবং পরবর্তী সময়ে সুস্থ করে তাদের প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। একটি ছোট্ট ছেলের মতো অসুস্থ গন্ডার বা হাতি যখন আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে, তখন তাকে আবার মুক্ত করে দেওয়া হয় তার নিজস্ব পরিবেশে।এই সুস্থ ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরে যাওয়ার মুহূর্তে প্রকৃতির কাছে যেন এক নতুন জীবনের সূচনা হয়, এবং সবার জন্য এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়।
সুরজিৎ দে