মন্দিরের এক ভক্ত ধর্মনারায়ণ বর্মা জানান, “রাজ আমলের এই মন্দির স্থাপন করা হয়। তবে কোনও কারণে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে রাজাদের পরবর্তী সময়ে এই মন্দিরকে ধীরে ধীরে সংস্কার করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বহু মানুষ এই মন্দিরের সম্পর্কে সঠিক জানতেন না। তবে এই মন্দিরের সম্পর্কে জানান পর বহু মানুষ এই মন্দিরে আসেন। এখানে ভগবান শিব রয়েছেন। ফলে গোটা শ্রাবণ মাসে জুড়ে প্রচুর ভক্তদের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। ফলে এই মন্দির ধীরে ধীরে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।”
advertisement
আরও পড়ুন : ভ্যাপসা গরমের সঙ্গী অসহ্য ঘাম, যে কোনও মুহূর্তে গৌড়বঙ্গের এই জেলায় ধেয়ে আসবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি
মন্দিরের আরও দুই ভক্ত জয়কৃষ্ণ বর্মন ও সরলা বর্মন জানান, “একটা সময় এমন ছিল যখন খুব বেশি ভক্ত আসতেন না। সেখানে বিপুল পরিমাণে মানুষ এখন ভিড় জমান মন্দিরে। প্রাচীন এই মন্দিরকে সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থায় রয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডে। শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার করে এখানে বড় করে যজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়। এছাড়াও রান্না করা হয় প্রচুর ভোগের খিচুড়ি। দূর দুরান্তের ভক্তরা এখানে আসেন শিবের মাথায় জল ঢালতে ও মন্দির দর্শন করতে।”
বানেশ্বর ও জল্পেশ মন্দির ছাড়াও এই ষান্তেশ্বর শিব মন্দিরেও বহু মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে শ্রাবণ মাসে। আগামিদিনে এই মন্দিরে ভিড় আরও অনেকটাই বেড়ে উঠবে বলে আশা। এবং মন্দির সংস্কার করে আরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখা হোক, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।