গ্রামে যখন তখন হাতি চলে আসে। বন কর্মীদের তৎপরতায় সেটিকে আবার জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হয়। হাতির হানায় বিধ্বস্ত হয়ে রয়েছে এই গ্রামটি। গ্রাম জঙ্গল দিয়ে ঘেরা হওয়ার কারণে গ্রামের রাস্তায় রোজ দেখা যায় বন্য প্রাণীদের। পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার সময় বানরের অত্যাচারে অতিষ্ট তারা।
advertisement
স্কুলে যাওয়ার পথে একদল বানর তাদের রোজ ঘিরে ধরে। তাদের টিফিনের খাবার নিয়ে যায়। এই নিয়ে পড়ুয়া ও বানরদের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি চলে। অধিকাংশ পড়ুয়া বানরের আঁচড় পেয়েছে। মাঝেমধ্যে বাইসন দেখা যায় এই রাস্তায়। পড়ুয়াদের কথাতে, এই রাস্তায় একা তারা চলাফেরা করে না। দল বেঁধে এবং জোরে কথাবার্তা বলে যাতায়াত করে। একসঙ্গে অনেক মানুষ দেখলে বন্য প্রাণীরা কম কাছে ঘেঁষে। জঙ্গলের এই পথ ধরে যেতে হয় এলাকার একটি মাত্র প্রাথমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন জেলা প্রশাসন ও বনদফতরের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই তৎপরতা বছরের প্রতিটি সময় চাইছে পড়ুয়ারা। বছরের অন্যান্য সময় যেমন তেমনভাবে পার করা গেলেও শীতকালটা ভয়ের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সকালেও যেমন কুয়াশা থাকে। বিকেলেও একরকম ঘন কুয়াশা দেখা যায়। দৃশ্যমানতা কম থাকায় জঙ্গলের রাস্তায় বোঝা দায় কোথায় বন্যপ্রাণী দাঁড়িয়ে রয়েছে। যার ফলে জীবনহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবেন্দ্র রাভা জানান, “চিলাপাতা জঙ্গল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অন্তর্ভুক্ত। বাইসন, হাতি এবং গন্ডারের রাস্তায় চলে আসা নতুন কোনও বিষয় নয়। তবে পড়ুয়াদের কথা ভেবে স্কুল শুরু এবং শেষ হওয়ার সময় রাস্তায় বনকর্মী মোতায়েন থাকলে সুবিধা হয়।”





