কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত ট্রেনে চেপে কলকাতা থেকে আলিপুরদুয়ার শহরে আসেন। সেখানকার এক স্বনামধন্য হোটেলে নিজেকে দীপব্রত চক্রবর্তী ও সাউথ সল্টলেক সেক্টর ১-এর বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। পরিচয়পত্র হিসেবে ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড হোটেলে জমা করেন। সেই সঙ্গেই নিজেকে ডাইরেক্টর অফ সেন্ট্রাল আইবি’র আইপিএস অফিসার হিসেবেও পরিচয় দেন ওই যুবক।
advertisement
এরপর গতকাল থেকে এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন অভিযুক্ত। নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। তখনও তাঁর আসল পরিচয় সম্বন্ধে কেউ ঘুনাক্ষরে টের পায়নি। তবে তাঁর কথায় অসংগতি লক্ষ্য করেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। লোকমুখে সেই খবর আলিপুরদুয়ার থানার অ্যান্টি ক্রাইম টিমের কাছে পৌঁছে যায়। এরপরেই সেই ভুয়ো আইপিএস অফিসারের খোঁজখবর নিতে শুরু করে পুলিশ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে, অভিযুক্ত যুবক আলিপুরদুয়ার কোর্ট ট্রান্সপোর্ট বাজার এলাকায় কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে। এরপর তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন আলিপুরদুয়ার থানার অ্যান্টি ক্রাইম টিমের পুলিশকর্মীরা। অভিযুক্ত যুবক সেখানে পৌঁছতেই তাকে আটক করে পুলিশ। তল্লাশি চালালে তাঁর কাছ থেকে একাধিক ভুয়ো আধার ও এপিক কার্ড উদ্ধার হয়। এমনকি তাঁর মোবাইলে ভুয়ো আইপিএস আধিকারিকের পরিচয়পত্রও উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়।






