বন বিভাগের আধিকারিকদের দাবি, এর ফলে শুধু চোরাশিকার দমন নয়, পাশাপাশি বনাঞ্চলে আগুন, বন্যপ্রাণীর চলাফেরা, নদী জলাশয়ের পরিবর্তন এবং সংবেদনশীল করিডোরগুলিতে মানুষের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে আসছে। তবে এই ড্রোন ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইছে বন বিভাগ। এই মুহূর্তে জলদাপাড়া এবং গরুমারায় ড্রোন ক্যামেরা রয়েছে দশটি। জলদাপাড়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে নজরদারিতে পাঁচটি ড্রোন ক্যামেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত পুতুলনাচ আউশগ্রামের মাঠে, টেক্কা দিল ‘চদর-বদর’! লা-জবাব পরিবেশনে মুগ্ধ সবাই
জলদাপাড়াতে গত তিন বছর ধরে ড্রোনের ব্যবহার হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে ১১ টি গন্ডার ভেসে গিয়েছিল অন্যত্র। ড্রোন ক্যামেরার নজরদারিতে তাদের চিহ্নিত করে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে জাতীয় উদ্যানে। বন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ড্রোনের মাধ্যমে জঙ্গল ঘেঁষা এলাকা থেকে সন্দেহ কিছু শনাক্ত হলে, তা গ্রাউন্ড টিমকে জানানো হচ্ছে। শিকার বিরোধী অভিযান অনেক দ্রুততর হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বন্যা পরবর্তী সময়ে তোর্ষা নদীর ধারে ঘাস বন পর্যবেক্ষণ অনেক নিখুঁত হয়েছে ড্রোনের মাধ্যমে। একইভাবে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে গন্ডার, হাতি অন্যান্য প্রাণীর পর্যবেক্ষণে। তবে রাতে ভালভাবে বুঝতে পারার জন্য থার্মাল ক্যামেরাযুক্ত অত্যাধুনিক ড্রোনের ব্যবহার বৃদ্ধি করা উচিত বলে মনে করছেন বন আধিকারিকরা। জলদাপাড়া ও গরুমারা মিলিয়ে আরও দশটি ড্রোন বৃদ্ধি করলে নিখুঁতভাবে জঙ্গলে নজরদারি চালানো সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা। সেই প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাশওয়ান ফোনে জানান, “জঙ্গলে এমন অনেক রুট আছে, যেখানে হেঁটে পৌঁছনো সম্ভব নয়। সেখানে ড্রোন পৌঁছে যাচ্ছে। সেই স্থানের পরিস্থিতি আমরা নজরে রাখতে পারছি সহজেই।”





