নতুন এই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে রেডিও টেলি-কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকবে পুরো উদ্যান এলাকার অন্তর্গত সমস্ত রেঞ্জ, বিট অফিস এবং বনকর্মী দল। ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ও সমন্বয় আগের তুলনায় আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে ঘটবে বলে জানা যায়। সাধারণ মানুষের জন্য দেওয়া হবে দুটি হেল্পলাইন নম্বর। যেখানে ফোন করে কেউ হাতি-মানুষ সংঘাত, বন্যপ্রাণীর গতিবিধি বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে খবর জানাতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানরা বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াল মুর্শিদাবাদের রাস্তায়! বিজয় দিবসের আবেগে ভাসল ‘নবাবের শহর’
খবর পাওয়া মাত্রই কন্ট্রোল রুম থেকে নিকটবর্তী টহলদলকে নির্দেশ পাঠানো হবে এবং দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। উদ্যানের গুরুত্বপূর্ণ হাতির করিডর এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ৩০টি উচ্চমানের সিসিটিভি ক্যামেরা। এই ক্যামেরার ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবে। বন্যপ্রাণীর চলাচল, পাশাপাশি বেআইনি প্রবেশ বা সম্ভাব্য শিকারচক্রের গতিবিধিও ধরা পড়বে। বন দফতরের দাবি, এই প্রযুক্তিগত নজরদারি বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও পাচার রোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্কের ডিএফও প্রবীণ কাশওয়ান জানান, “জলদাপাড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্যপ্রাণ এলাকা। এখানে একশৃঙ্গ গন্ডার, বাইসন, সম্বর ও হাতিসহ বিভিন্ন বন্যজীব রয়েছে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় বহু অ্যান্টি-পোচিং ক্যাম্প রয়েছে এবং নিয়মিত হাতি ও গাড়ি নিয়ে পেট্রোলিং করা হয়। প্রয়োজনে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।” তিনি আরও জানান, হাতির সংখ্যা বেশি থাকায় সংঘাতের সম্ভাবনাও বেশি। মানুষ-হাতি সংঘাত কমাতে দিন-রাত মিলিয়ে প্রায় ২৫টি টিম নজরদারিতে থাকে। এই কাজকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যেই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।





