এই হস্তি শাবক পিলখানার অন্যতম আকর্ষণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে যাওয়া প্রায় ১৫ দিনের এক মাদী হস্তি শাবককে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হয় জলদাপাড়ায়। উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসের গোড়াতেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি উদ্ভব হয়। নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যায় হস্তি শাবকটি। প্রথমে তা কার্শিয়ংয়ের তারাবাড়ি এলাকায় মায়ের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং পরে ভেসে যায় সীমান্ত লাগোয়া মণিরাম এলাকায়। সেখানে ভারত ও নেপালের স্থানীয় মানুষ এবং দুই দেশের প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় নদী থেকে শাবকটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : অপরাধীদের কপালে দুর্গতি, ৫০ লক্ষ টাকায় পুলিশের হাতে এল ‘মোক্ষম’ জিনিস! হাওড়ায় বসছে হাইটেক ক্যামেরা
এরপর কার্শিয়ং বন বিভাগের উদ্যোগে মাকে খুঁজে শাবককে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শাবককে নিয়ে যাওয়া হয় পানিঘাটা রেঞ্জের কলাবাড়ি বিটের জঙ্গলে এবং পর্যবেক্ষণের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ নজরদারির পরও পালের কোনও হাতি তাকে কাছে টেনে নেয়নি। একা ঘুরে বেড়াতে থাকে বাচ্চা হাতিটি। শারীরিক দুর্বলতা ও অল্প বয়স বিবেচনা করে গত ৮ অক্টোবর তাকে বিশেষ পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী বিভাগে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে শাবকটি রয়েছে জলদাপাড়ার হলং সেন্ট্রাল পিলখানায়। অভিজ্ঞ মহুতরা তাকে দুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে প্রতিদিনের যত্ন নিচ্ছেন। পাশাপাশি বন বিভাগের পশু চিকিৎসক দল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও চালাচ্ছেন নিয়মিত। লাকি এখন মাহুতদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় হলং সেন্ট্রাল পিলখানার বিভিন্ন এলাকায়। তাকে সূর্যের আলো বেশি থাকলে হলং নদীতে স্নান করান মাহুতরা। শান্তভাবে স্নান করে লাকি। স্নানের পর আবার মাহুতের সঙ্গে চলে যায় সে। এদিনও স্নান করতে এসেছিল লাকি। সেই সময় বন কর্মীরা তাঁর স্নানের মিষ্টি ভিডিও রেকর্ড করে।





