জয়ন্তী নদী ও পাহাড়ের গাঁ ঘেঁষে চলে মহাকালের সাফারি।পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি সাফারি এটি। বর্তমানে ডুয়ার্স তথা আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে ঝকঝকে আকাশ, ঠান্ডার আমেজ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা মিলছে বক্সা ও ভুটান পাহাড় চূড়ার।এই সময় মহাকাল সাফারির উপযুক্ত সময়।জঙ্গল খোলার পর যদিও বন্ধ ছিল সাফারি। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মহাকাল সাফারি খুলে যাওয়ার খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
advertisement
মহাকাল সাফারি চালু হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে বক্সার চুনিয়া সাফারি। যদিও, সেটি শীঘ্রই খুলবে বলে বনদফতরের তরফে জানানো হয়। পাশাপাশি, মহাকাল সাফারির সময়ও পরিবর্তিত হয়েছে বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, পূর্বে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই সাফারি চালু থাকলেও, এখন সকাল ৬টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২.৩০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে এই সাফারি। যা নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট স্থানীয় গাইড থেকে শুরু করে পর্যটকরা।
আরও পড়ুন- বন্ধ গ্লেনারিস পাব! বড়দিনের রাতে দার্জিলিঙে জমজমাট নাইটলাইফের বিকল্প ঠিকানাগুলি জেনে নিন
তাঁদের কথায়, মহাকালে শুধু সাফারি নয়, অনেকে পাহাড়ে শিব মন্দিরে পুজো দিতেও আসেন। ফলে অন্যান্য সাফারির চেয়ে কিছুটা সময় সাপেক্ষ এই সাফারি। ফলে নির্দিষ্ট কোনও সময় ধরে না দিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই সাফারি খোলা রাখলে পর্যটকদের অনেকটাই সুবিধা হবে।
অজয় ভট্টাচার্য নামের এক গাইড জানান, “মহাকাল মন্দিরের নিয়ম অনুসারে সাফারির নিয়ম হয়েছে। পুজো দিতে পারবেন পর্যটকরা। কিন্তু মহাকাল সম্পূর্ণ গাড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো যায় না, কিছুটা ট্রেক করতে হয়। পুরো পর্যটন স্থান যদি ঘুরে না দেখতে পারলো পর্যটকরা তাহলে সাফারির কী মানে হল।”
মহাকালের পাশাপাশি পোখড়ি ও চুনিয়া সাফারির সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খোলার দাবি বনদফতরের কাছে রাখবেন বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা।





