সারা বছরই ব্যাপক চাহিদা থাকে সামুদ্রিক এলাকায়। নদী এবং পুকুরে মাছ চাষের ক্ষেত্রেও ব্যবহার দেখা দেয় এই বাঁশের উপকরণের। তবে মালদহ জেলায় বিশেষত ব্যবহার হয়ে থাকে শুটকি মাছ শুকানোর জন্য। শুধু জেলা নয়, ভিন রাজ্য গুজরাট, ওড়িশা, মুম্বই ইত্যাদি রাজ্যের সামুদ্রিক এলাকায় পাড়ি দেয় গ্রামের মহিলাদের হাতে তৈরি বাঁশের বানা বা সিরকি। ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা দামে এক একটি বাঁশের বানা বিক্রি হয়। মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের সাতটারি নতুন চৌধুরী পাড়া এলাকায় অধিকাংশ বাড়ির মহিলারা বাঁশের এই উপকরণ তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির ছাদেই ব্যবসার নতুন আইডিয়া! গাছেই আসবে টাকা, শুধু পদ্ধতি জানলেই মালামাল
এই বাঁশের উপকরণ প্রস্তুতকারক এক হস্তশিল্পী গোবিন্দ চৌধুরী জানান, “পুকুর কিংবা নদীতে মাছ চাষের জন্য ঘেরাটোপ হিসেবে এবং সামুদ্রিক শুটকি মাছ শুকানোর জন্য ম্যাট হিসেবে ব্যবহার হয় এই বাঁশের তৈরি বানা। সারা বছরই এই কাজ করে সংসার চলে। গ্রামের অধিকাংশ মহিলাদের দিয়ে বানা তৈরির কাজ করায়। ভাল টাকা উপার্জন হয়ে যায়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
১৫০ থেকে ২০০ টাকা এক একটি বানার জন্য মজুরি পান মহিলারা। সারাদিনে দুই থেকে তিনটি এই বানা তৈরি করেন মহিলারা। শুধু জেলা বা ভিন জেলা নয় ভিন রাজ্য গুজরাত, ওড়িশা, মুম্বই-সহ একাধিক নদী ও সামুদ্রিক এলাকায় পাড়ি দেয় গ্রামের মহিলাদের হাতের তৈরি বাঁশের এই বানা। বাঁশের উপকরণ তৈরির কাজের বিকল্প এই পথ রোজগারের দিশা দেখাচ্ছে জেলার হস্তশিল্পীদের।





