জেলাজুড়ে কখনও একনাগাড়ে আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আর এই বৃষ্টিতেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে বক্সার জঙ্গল ঘেরা দুই গ্রামের বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের কথায়, সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ১৬০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে প্রবল বৃষ্টিতে সেই বাঁধ টপকেই লোকালয়ে প্রবেশ করছে বক্সা ঝোড়ার জল। পাশাপাশি, আরও ৩০০ মিটারের কাছাকাছি বাঁধ নির্মাণ না হলে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের পর এবার দেশ! জাতীয় স্তরে কবাডিতে মাঠ কাঁপাবে মালদহের ‘এই’ ১৩ খেলোয়াড়, জানুন
এই আঠাশ ও ঊনত্রিশ এই দুই গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বক্সা পাহাড় নেমে আসা ঝোড়া। আর এই ঝোড়া ও এলাকায় মাঝ বরাবর রয়েছে আলিপুরদুয়ারগামী রাজ্য সড়কও। বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিনিয়ত পাহাড় থেকে নেমে আসা বালি-পাথর জমা হয়ে সেই সড়ক ঘেঁষা বক্সা ঝোড়ার উচ্চতা বর্তমানে সেই রাজ্য সড়কের সমান হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, বছরের এমনি সময় এই ঝোড়ায় জল না থাকলেও, বৃষ্টি লাগাতার চললে তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। পাশাপাশি, ঝোড়ার উচ্চতা বাড়ায় তার নীচে চাপা পড়েছে বাঁধও। ফলে ধীরে ধীরে উচ্চতা বাড়ার পাশাপাশি, দু’দিক থেকে চওড়া হয়ে নদীর রূপ নিচ্ছে এই ঝোড়া।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি স্থানীয় রাজভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত তরফে এলাকায় প্রায় ১৬০ মিটার বাঁধও তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে সেই বাঁধেও কাজ হচ্ছে না বলে দাবি আঠাশ ও ঊনত্রিশ বস্তির বাসিন্দাদের।