ইংরেজবাজার ব্লকের বিনোদপুর অঞ্চলের কাগমারি হাটপাড়া এলাকার এই শিল্পী আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে কম সময়ে অধিক পরিমাণে প্রদীপ সহ নানা রকম মাটির জিনিস তৈরি করছেন। দিনে প্রায় ৭০০ থেকে ১০০০টি মাটির প্রদীপ সহ অন্যান্য সমস্ত রকম মাটির সামগ্রী তৈরি হয় বলে জানান তিনি।
advertisement
মৃৎশিল্পী উজ্জ্বল পাল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে মাটির বিভিন্ন জিনিস তৈরির কাজ করি। আগে কুমোর চাকা দিয়ে মাটির প্রদীপ ও অন্যান্য জিনিস তৈরি করতাম। সেই কুমোর চাকা ভেঙে যাওয়ার পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাড়ির বড় ছেলে যান্ত্রিক মোটর দিয়ে এই মেশিন তৈরি করে দেয়। এই মেশিনের মাধ্যমে সারা বছর দইয়ের ভাঁড় সহ অন্যান্য মাটির জিনিস তৈরি করি। এখন কালীপুজোয় প্রদীপের অর্ডার আসায় মাটির প্রদীপ তৈরি করছি।”
মৃৎশিল্পীর স্ত্রী মালতি পাল জানান, “কুমোর চাকায় মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতে অনেক সময় লাগত। এখন মেশিনের মাধ্যমে ঘণ্টায় ১০০টি প্রদীপ তৈরি হয়ে যায়। ছোট প্রদীপ ১ টাকা এবং বড় প্রদীপ ৩ টাকা ও ৫ টাকা দাম। পাইকারি, খুচরো সবই বিক্রি করি। ভাল টাকা রোজগার হয়ে যায়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আধুনিক প্রযুক্তির ফলে উৎসবের আলোয় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ডিজিটাল ইলেকট্রিক প্রদীপ থেকে বিভিন্ন রকম আলোকসজ্জা বাজারে এসেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাটির প্রদীপের চাহিদা কমেনি। সেই চাহিদা মতো জোগান দিতে আধুনিক এই মেশিন বেছে নিয়েছেন মালদহের এই মৃৎশিল্পী। মাটির জিনিস তৈরিতে তাঁর এই পদ্ধতি সকলের নজর কেড়েছে।