সাধারণত, হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে তুলাইপাঞ্জি ভাল চাষ হয়। তবে বেশি বৃষ্টিতে ফলনে ক্ষতি হয়। মূলত মাটি ও আবহাওয়ার কারণেই এই জেলায় তুলাইপাঞ্জি ফলন হয়। জেলার বিভিন্ন হাটে ও বাজারে কেজি প্রতি ১৫০ – ১৭০ টাকা দরে বিকোচ্ছে। অন্যান্য বছর থেকে এবছর ফলন ভাল হয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হবেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : সবাই চলে যাচ্ছে গ্রাম ছেড়ে, পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হতে বসেছে স্কুল! অথচ সব সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারে একটু সেতু
এবিষয়ে ধানচাষি পরিমল মন্ডলকে জানান, “জৈব পদ্ধতিতে তুলাইপাঞ্জি ধান চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। কারণ এর স্বাদ ও সুগন্ধের কারণে বাজারে এর চাহিদা বেশি এবং দামও বেশি। যদিও এই চাষে কিছু ক্ষেত্রে খরচ বেশি হতে পারে। তবুও রাসায়নিক সার পরিহার করে জৈব সার ব্যবহার করলে চালের গুণমান ও ফলন বৃদ্ধি পায় এবং স্বাস্থ্যকর পণ্য হিসেবে বাজারমূল্যও বাড়ে। এই পদ্ধতিতে চাষের খরচ বেশি হলেও, বাজারজাত করার সঠিক ব্যবস্থা থাকলে জেলার চাষিরা ভাল লাভ করতে পারেন।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিমল মন্ডল আরও জানান, জৈব সার দিয়ে চাষ করার ক্ষেত্রে তিনি গরুর গোবর, ভার্মি কম্পোস্ট, সরিষার খোল, নিম খোল, গোমূত্র সহ সবজি পচিয়ে সার তৈরি করেন। এই ধান রোপন করার সময় তিনি সরিষা খোল, নিম খোল এবং ভার্মি কম্পোস্ট দিয়ে জমি তৈরি করেন। তুলাইপাঞ্জি ধানে রোগপোকার আক্রমণ তেমন না হওয়ায় কীটনাশক প্রয়োগেরও খুব একটা দরকার পড়েনা। তবুও পোকার আক্রমণ থেকে নিস্তার পেতে নিম তেলের সঙ্গে জৈব কীটনাশক স্প্রে করেন। ছত্রাক রোধ করতে টাইকোডামা ভ্যারাইটি ব্যবহার করেন তিনি। চালের সুগন্ধ ও গুণগত মান ধরে রাখতে বর্তমানে কৃষি দফতরের আধিকারিক ও প্রযুক্তি সহায়কদের পাশাপাশি পরিমলবাবু জেলা জুড়ে চাষিদের জৈব সার প্রয়োগ করে চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।






