সবাই চলে যাচ্ছে গ্রাম ছেড়ে, পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হতে বসেছে স্কুল! অথচ সব সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারে একটু সেতু

Last Updated:

Purba Barddhaman News : বন্যার গ্রাসে প্রায় জনশূন্য গ্রাম! পড়ুয়া হারিয়ে বন্ধের মুখে বিদ্যালয়! দিন দিন যেন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বেগুনকোলা গ্রাম।

+
বিদ্যালয়ে

বিদ্যালয়ে হাতে গোনা পড়ুয়া 

কেতুগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী : বন্যার গ্রাসে প্রায় জনশূন্য গ্রাম! পড়ুয়া হারিয়ে বন্ধের মুখে বিদ্যালয়! দিন দিন যেন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বেগুনকোলা গ্রাম। একসময় প্রাণচঞ্চল এই গ্রাম আজ প্রায় জনশূন্য। এক সময় যেখানে প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীর কোলাহলে মুখর ছিল বেগুনকোলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেখানে আজ মাত্র নয়জন পড়ুয়া নিয়ে চলছে পাঠদান। দুই শিক্ষক-শিক্ষিকাই কোনও মতে ধরে রেখেছেন স্কুলের চাকা।
প্রধান শিক্ষক শান্তনু রায়চৌধুরী বলেন, “পড়ুয়াদের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ বন্যা। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। পারাপার বলতে রয়েছে শুধু একটিমাত্র নৌকা। গ্রামবাসীরা উঠে চলে গিয়েছেন নদীর ওপারে। সেই কারণেই পড়ুয়াদের সংখ্যা কমেছে।”অজয় নদীকে ঘিরে থাকা গ্রামটি প্রায় দ্বীপের মতো। প্রতি বছরই বন্যায় ডুবে যায় গোটা এলাকা! বর্ষা নামলেই কাদা আর জলে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। গ্রামের বাইরে যাওয়ার একমাত্র উপায় নৌকা। কিন্তু রাতে নৌকা না থাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ। গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঢুকতে পারে না এখানে! অসুস্থদের নিয়ে নাকাল হতে হয় পরিবারগুলিকে।
advertisement
advertisement
এই চরম ভোগান্তিতেই বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন অধিকাংশ গ্রামবাসী। ফলস্বরূপ, পড়ুয়া কমে গিয়ে স্কুল এখন প্রায় বন্ধের মুখে। গ্রামবাসী রাধারাণী চক্রবর্তী বলেন, “যখন আমার বিয়ে হয়েছিল, তখন এই গ্রামে প্রচুর মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু এখন আর নেই। যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা, বন্যা পরিস্থিতি, এইসবের জন্যই মানুষ ওপারে চলে যাচ্ছে। পরিবার না থাকলে তাদের বাচ্চারাও থাকছে না। এই কারণেই পড়ুয়াদের সংখ্যাও কমেছে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ধীরে ধীরে এই গ্রামে উন্নতির থেকে অবনতি বেশি হয়ে যাচ্ছে।”গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, প্রশাসন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত পর্যন্ত বারবার জানানো সত্ত্বেও আজও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই বসতবাড়ি-জমি ফেলে একে একে গ্রাম ছেড়েছে বহু পরিবার।স্থানীয়দের কথায়, গ্রাম থেকে অজয় নদী পার হলেই কাটোয়া শহর। সেখানে স্কুল, পড়াশোনা আর টিউশনির ভালো ব্যবস্থা আছে। সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবেই সবাই চলে যাচ্ছে কাটোয়ায়। তবে গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, গ্রাম থেকে কাটোয়া সংযোগকারী একটি সেতু এবং রাস্তার সংস্কার হলেই মিটে যাবে সমস্যার মূল কারণ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সবাই চলে যাচ্ছে গ্রাম ছেড়ে, পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হতে বসেছে স্কুল! অথচ সব সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারে একটু সেতু
Next Article
advertisement
Jemimah Rodrigues: ‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি, স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...!’ ফাইনালে উঠে আবেগ্রপ্রবণ জেমাইমা
‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি, স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...!’: জেমাইমা
  • ‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি’

  • স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...

  • অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর আবেগপ্রবণ জেমাইমা

VIEW MORE
advertisement
advertisement