COFAM বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাটির হাঁড়ি ও কিছু জৈব উপাদান দিয়ে সহজ পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে ভার্মিওয়াশ, যার মূল ভিত্তি কেঁচো। তিনটি ধাপে সাজানো হাড়ির মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টার একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তুত হচ্ছে এই তরল সার। নিচের হাঁড়িতে জমে থাকা তরলটিকেই স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ফসলের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরে-বাইরে সব জলময়, শান্তি নেই কোথাও! কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন, মুর্শিদাবাদে সরেজমিনে লোকাল ১৮
ভার্মিওয়াশ মূলত একপ্রকার তরল নির্যাস, যা ভার্মিকম্পোস্ট থেকে উৎপাদিত হয়। এতে থাকে প্রচুর পচনশীল ব্যাকটেরিয়া, ভিটামিন, হরমোন, এনজাইম, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড এবং বিভিন্ন জৈব উপাদান, যা উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও পোকামাকড় দমন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কেঁচোর ত্বক, কোয়েলোমিক তরল এবং শ্লেষ্মা থেকে নির্গত প্রাকৃতিক উপাদানগুলি মাটির জীবাণুকে সক্রিয় রাখে এবং পরিবেশকে রোগমুক্ত রাখে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভার্মিওয়াশ শুধু কীটনাশক বা জৈবসার হিসেবে নয়, বরং এটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তাই ফসলের গুণমান ও পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য এই প্রযুক্তিকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
COFAM বিভাগের এই উদ্যোগ উত্তরবঙ্গের কৃষকদের জন্য এক নতুন আশার আলো হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। কৃষিক্ষেত্রে জৈব ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির ব্যবহারই ভবিষ্যতের চাষবাসের মূল দিশা হয়ে উঠতে চলেছে, আর সেই পথেই এগোচ্ছে এই প্রকল্প।