মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করে সাড়া ফেলে দেওয়া কৃষক পবিত্র বর্মন জানান, লঙ্কা ও আদা চাষের ক্ষেত্রে জলসেচের অনেকটাই দরকার পড়ে। এছাড়া জমিতে চাষ করতে হয় ভালভাবে। তবে যদি কোনও কৃষক বস্তার মধ্যে এভাবে মিশ্র চাষ করেন তবে জমিতে হাল দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়া সামান্য জমিতে বেশি ফসল পাওয়া সম্ভব হবে। বর্ষার মরসুমে এভাবে চাষ করলে জল সেচ প্রয়োজন হয় না খুব একটা। এছাড়াও মাটি অনেকটাই ভাল থাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। ফলে ফসলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে চাষ করলে লাভের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঠের সেতুতে মরণ ফাঁদ! প্রাণ হাতে করে যাতায়াত জয়নগরে
এই এলাকায় কৃষক পবিত্র বর্মন প্রথম এই মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করছেন। তাঁকে দেখে আরও অনেক কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য এগিয়ে আসছেন। তিনি এখনও পর্যন্ত জমিতে মোট ৪৮ হাজার টাকার মত খরচ করেছেন। তবে এর থেকে তিনি লাভ পাবেন লক্ষাধিক টাকারও বেশি। এছাড়া এভাবে চাষ করতে প্রয়োজন পড়ে গোবর সার ও কচুরিপানার। এই দুই জিনিস প্রয়োগ করার মাধ্যমে গাছের ফলন হয় আরও একটু বেশি। তবে গাছের রোগ থেকে বাঁচতে সপ্তাহে অন্তত একবার করে কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত।
সার্থক পণ্ডিত