নদী বাঁধের ধারের এক বাসিন্দা শাহরুখ মহম্মদ জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা এই জায়গায় রয়েছেন। তাঁদের যাওয়ার আর কোনও জায়গায়ই নেই। সরকারিভাবে তাঁদের এখান থেকেও উচ্ছেদ করে দেওয়া হলে তাঁরা কোথায় যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। তাঁদের বসবাস করার এই জায়গাটুকু যাতে সরকার কেড়ে না নেয় সেই জন্য তিনি আবেদন করছেন। এলাকার আরেক বাসিন্দা বিকাশ রায় জানান, তাঁদের মত আরও হাজারের মত পরিবার রয়েছে। তাঁদেরও এই একই সমস্যায় পড়তে হবে এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া হলে। তবে সেই মানুষগুলিরও মাথার ওপরের নুন্যতম ছাদটুকুও হারিয়ে যাবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: লাল নয়, খান কালো টম্যাটো! মারণ রোগ দূর করে! বাড়ির ছাদেই চাষ করুন সহজে
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোচবিহার সেচ বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ বদিরউদ্দিন শেখ জানান, “নদীর বাঁধ এবং বাঁধের নিচের অংশ বহু মানুষ অবৈধভাবে দখল করে রয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে সেচ বিভাগকে। এছাড়া নদী বাঁধের ওপর থাকা রাস্তায় প্রায়শই এই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সরকারিভাবে এই সমস্ত দখল জায়গাগুলিকে মুক্ত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই গোটা কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দখল করার এলাকাগুলিতে পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সেই এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”
তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা উচ্ছেদ সমস্যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এই মানুষেরা কোথায় যাবেন সেই চিন্তায় অস্থির হয়ে রয়েছেন। তবে সরকারি ভাবে এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবেই বলে জানিয়েছেন সেচ বিভাগের কর্মকর্তারা। এই কাজে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন তাঁদের পাশে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
Sarthak Pandit





