মার্চ মাসের শেষেই পাহাড় সফরে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক করেছিলেন পাহাড়ের একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জিটিএ নির্বাচন হয়ে আজ তাঁর শপথ অনুষ্ঠান। এর পর জুনের শুরুতেই তিনদিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে প্রথমে আলিপুরদুয়ারে যান তিনি।
কর্মিসভা ও একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি জলপাইগুড়িতেও সভা করেন তিনি। রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে মানুষকে এক হওয়ার বার্তা দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: দলে থেকেও ব্রাত্য! দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাতেও এই বিধায়ককে কেন ডাকল না বিজেপি?
আলিপুরদুয়ারের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, "আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের মানুষকে বলব আমরা সবাই এক। কোনওভাবেই বাংলা ভাগ হতে দেব না। আমি রক্ত দেওয়ার জন্য তৈরি। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,পঞ্চানন বর্মাকে ভাগ করতে পারবেন? কিছু নেতার কাজকর্ম নেই আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে উত্তরবঙ্গকে ভাগ না করলে আমাকে মেরে দেবে।আমি বলি তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও। এতবড় ক্ষমতা তোমাদের?"
তাঁর ওই সফরের আগে একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিল কেএলও। কেএলও নেতা জীবন সিং একটি ভিডিয়ো বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরই আলিপুরদুয়ারের সভায় এ নিয়ে সরব হন মমতা। সেখানে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি।কখনও বিজেপি বিধায়কদের রাজ্যভাগের হুমকি। কখনও আবার হুশিয়ারি।
পাল্টা এর বিরোধিতা তৃণমূল কংগ্রেস করলেও এবার উত্তরের মাটি থেকেই জবাব দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আজকের সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত যে দুই জেলাকে নিয়ে এই সভা হচ্ছে সেই আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের ফল অত্যন্ত খারাপ। জলপাইগুড়িতে সে অর্থে ভালো ফল নেই। এই অবস্থায় আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে অভিষেকের এই সফর। সফরে একদিকে যেমন সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে আগামী দিনে কীভাবে কাজ করবে দল সেই বার্তা দেবেন তিনি। অন্যদিকে, কীভাবে বিজেপি বিরোধীতায় দল সরব হবে সেই বার্তাও দেবেন।