মালবাজারের শ্রমিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে অভিষেকের বক্তব্য, ‘‘শ্রমিক নেতাদের বলব, সকাল-বিকেল কাজ করুন। বিকেল হলেই গাড়ির কাঁচ তুলে লাটাগুড়ি রিসর্ট চলে যাওয়া যাবে না। শ্রমিক নেতা ও মূল স্তরের নেতাদের বলব চা বাগানে যান। আমি বড় নেতা হয়ে গিয়েছি ভেবে গাড়ির কাঁচ তুলে ঘুরব এটা হবে না। এখানে বিরোধী দলের মতো ভূমিকা পালন করুন। আমরা মাথা নীচু করে সংশোধন করছি। কানে দেখে শুনে নয়। চোখে দেখে ভোট দেবেন।’’ ভোটদাতাদের উদ্দেশ্যে ধূপগুড়ি থেকে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা ভোট দেবেন তাঁঁদের বলছি, চোখে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷ কানে শুনে নয় ৷’’ একইসঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতেও কড়া ভাষায় কাজ বাতলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘যেখানে ফল খারাপ হয়েছে৷ সেই সব বুথে আমাদের ঢুকতে হবে। কে কটা বুথে গিয়েছেন হিসেব চাই আমার। ছবি-সহ আমার রিপোর্ট চাই৷ আমাদের নেতা কর্মীদের কিসের এত ভয়। কেন তারা এলাকায় যাবেন না? ’’
আরও পড়ুন- বর্ধমানে দফায় দফায় বর্ষণে পণ্ড রবিবারের পুজোর বাজার
অভিষেক এদিন ফের বলেন, ‘‘আবার বলছি মানুষের কাছে যান, মানুষের কাছে পৌঁছন। মাথা নত করেযেতে হবে। প্রতি দু'মাস অন্তর আমি আসব।’’ ধূপগুড়িতে তিনি বলেছিলেন তৃণমূলের কেউ বড় কেউকাটা হয়ে যাননি৷ আর নেতার পেছনে চারটে গাড়ি চলবে না। মানুষ ভোট দিতে চায়। কিন্তু কয়েকটা মুখ দেখে ভোট দিতে চায় না। বড় গাড়ি ছাড়ুন ৷ সাইকেলে ঘুরুন। জেলার দায়িত্ব যারা নিয়েছেন তারা সামনে পেছনে পুলিশের গাড়ি নিয়ে ঘোরা বন্ধ করুন।’’
‘এক ডাকে অভিষেক' আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও। যোগাযোগের নম্বর হল ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। অভিষেক ধূপগুড়ির সভায় বলেছিলেন, ‘‘কারও বিরুদ্ধে কোনও খবর থাকলে আমাকে জানাবেন ৷ জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েতে যদি কাজ না হয়। ব্লকে অভিযোগ থাকলে আমাকে জানাবেন৷’’