বাড়িতে রোগী দেখার পাশাপাশি কোন দুঃস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকার খবর পেলেই তিনি হোমিওপ্যাথি ওষুধের ব্যাগ সাইকেলে ঝুলিয়ে তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। গন্তব্য স্থল দু’কিলোমিটার হোক কিংবা দশ কিলোমিটার এই ভাবেই দীর্ঘ ২২ বছর যাবৎ চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন রঞ্জিতবাবু। বালুরঘাট শহর-সহ এই জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে বিভিন্ন মেলায় কিংবা তীর্থস্থানে রীতিমত তাঁবু তৈরি করে রোগী দেখার ঘটনা বিরল নয়। জেলার কুসুমন্ডি ব্লকের বাকডুমা স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সেই স্কুলে যোগদান করার পর থেকেই নিজেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজে নিয়োজিত করেন।
advertisement
কর্মস্থলে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় করবার পাশাপাশি একটি অনাথ আশ্রম চালান তিনি। রোগী দেখার জন্য কোন মূল্য তাঁকে দিতে হয় না। কোনও রোগী সামর্থ্য যা দেন, তা-ই তিনি গ্রহণ করেন। এতে খুশি চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও। পেনশনের টাকা থেকেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে ষষ্ঠ বালুরঘাটের সতীর্থ সাহা! প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭
আরও পড়ুন: জন্মের সময়ে পার্থক্য ১ মিনিট, মাধ্যমিকের নম্বরে পার্থক্য ২! যমজ ভাইয়ের চমকপ্রদ কীর্তি
অনেকেই বলেন, উনি দুঃস্থ মানুষের কাছে ভগবানের মতো। শুধু চিকিৎসা করেন না, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারি পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি। রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী টুলু দত্ত বলেন, “আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে যাচ্ছেন। পেনশনের টাকা যা কিছু পান, তা দিয়ে কোনও রকমে আমরা জীবন যাপন করি।”
চিকিৎসক রঞ্জিত কুমার দত্ত বলেন, “এখনও বহু কিছু করার বাকি আছে। কর্মজীবনে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগদান করার পর থেকেই কিছু করবার চিন্তা ভাবনা নিয়ে কাজ শুরু করি। শুধুমাত্র দুঃস্থ মানুষদের জন্য নয় বিভিন্ন মেলা তীর্থস্থানে তাঁবু তৈরি করে চিকিৎসা দিয়ে থাকি। কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করতে হয়।এখনও আমাদের সমাজে এমন বহু মানুষ আছে পয়সা দিয়ে চিকিৎসা করার ক্ষমতা নেই।”
সুস্মিতা গোস্বামী