জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম তরুণী মণ্ডল (৩৭) পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক। এলাকার বন্যা পরিস্থিতির জেরে ওই ব্যক্তির বাড়ি কার্যত ডুবেছে বন্যার জলে। সেই সময় মাছ ধরতে গিয়ে কোনওভাবে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও পুলিশ প্রশাসনে। যদিও সময়ে আসেনি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বা পুলিশ বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এরপর রাতভোর খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয়রা নিজেরাই উদ্ধার করে দেহ।
advertisement
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকার মানুষ দেহ উদ্ধারের জন্য বারবার পুলিশ প্রশাসনকে ফোন করে। ফোন করা হয় বিডিওকে। রাতের অন্ধকারে যাতে উদ্ধারের কাজ হয়। এলাকার মানুষ নিজেরাই আলোরও ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা ডুবুরি আসেনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পরবর্তীতে আর ফোন ধরেননি বিডিও। এদিন সকালে দেহ ভেসে উঠলে এলাকার মানুষ নিজেরাই দেহ উদ্ধার করে।
তারপর খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিতে আসলেই তুমুল বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। যদিও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবার-সহ গোটা গ্রামে।