এ দিন সকালে নিখোঁজ শ্রমিকদের মধ্যে তিন জন গ্রামে এসে পৌঁছন। বাকি দু-জন শিলিগুড়িতে আত্মীয় বাড়িতে থেকে গিয়েছেন। আগামিকাল সকালে তারাও পৌঁছে যাবেন। নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে আসায় ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রী এলাকায় খুশির হাওয়া।
আরও পড়ুনঃ সংসারে অশান্তি-দুর্যোগের আগেই সতর্ক সংকেত দেয় তুলসি! কী পরিবর্তন আসে গাছে? জানুন
advertisement
সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭ জন শ্রমিক একসঙ্গে শিলিগুড়ির এক ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে উত্তর সিকিমের জিরো পয়েন্ট এলাকায় কাজে গিয়েছিল। তাদের সেখানে ভারতীয় সেনার হয়ে চিন সীমান্তে বাঙ্কার নির্মাণের কাজ নিয়োগ করেছিল ঠিকাদার। প্রচন্ড ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টের কারণে প্রথম সপ্তাহেই ১৮ জন শ্রমিক নিজেদের বাড়ি ফিরে যান। অন্যান্য জেলার আরও প্রায় ৬০-৭০ জন শ্রমিকের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই ৯ জন শ্রমিক সেখানে শেষ পর্যন্ত কাজ করছিলেন। এদের মধ্যে বালুরঘাট বিজয়শ্রী এলাকার পাঁচ জন, কুমারগঞ্জ ব্লকের চারজন।
আরও পড়ুনঃ দীপাবলিতে ঘরের এই ৫ জিনিস অবশ্যই দান করুন, দেবী লক্ষ্মী ঘরে আসবেন, ভাগ্য উজ্জ্বল হবে
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, “ঠিকা শ্রমিকের কাজে গিয়ে সিকিমের দুর্যোগের পর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি। তারপর পরিবারগুলির পক্ষ থেকে বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভাবে নানা ভাবে চেষ্টা হয়েছে কিন্তু যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি।”
নিখোঁজ শ্রমিকদের বক্তব্য, তারা একদম সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর বাঙ্কার তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। বন্যায় কী হয়েছে তাদের জানা নেই। তবে ওই অঞ্চলে ফোনের টাওয়ার ছিল না। সেই কারণেই যোগাযোগ করা যায়নি। যোগাযোগ করতে না পারায় চরম উৎকন্ঠায় ছিল তাদের পরিবারের সদস্যরা। বার বার শ্রমিকদের মোবাইল নম্বরে ফোন করেও কোনভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে এ দিন বালুরঘাটের পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের বাড়িতে ফিরলেন। এদের সকলেরই বাড়ি বালুরঘাটের ডাঙ্গা বিজশ্রী এলাকায়।
সুস্মিতা গোস্বামী