তারপর শুরু ব্ল্যাক মেইল! নাবালিকার পরিবারের কাছে একটি নয়, দু' দুটো মোবাইল নং থেকে অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে টাকা দাবী করা হয়। নইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব অশ্লীল ছবি ভাইরাল করা হবে বলে হুমকি দেয়। তারই প্রেক্ষিতে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে শিলিগুড়িতে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত ১১ এপ্রিল অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে শিলিগুড়ি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করে। সুরজ ছেত্রী এবং সঞ্জয় ঘোষের নেতৃত্বে ২ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ইডেনে জোড়া প্লে-অফের দিনক্ষণ চূড়ান্ত! জমজমাট কলকাতা, আপনি প্ল্যান করছেন তো?
অভিযোগ পাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই সাফল্য পায় সাইবার ক্রাইম বিভাগের কর্তারা। শিলিগুড়ি বা উত্তরবঙ্গের অন্য কোথাও নয়। অভিযুক্ত ৩ যুবক গা ঢাকা দিয়েছিল সিকিমে। সেইমতো সিকিম যায় তদন্তকারীরা। সিকিম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে যৌথভাবে অভিযানে নামে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সিকিম পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয় ৩ যুবককে।
আরও পড়ুন: সৎ পাত্র নাকি অসৎ পাত্র, পয়লা বৈশাখে কাকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ?
উত্তর সিকিমে আশ্রয় নিয়েছিল ধৃত তিন যুবক। আজই দুপুরে সিকিম থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছয় তারা। ধৃতদের তোলা হয় আদালতে। নিজেদের হেপাজতে নিয়ে ফের জেরা করবে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। প্রসঙ্গত ওই নাবালিকা এবং ৩ ধৃতেরই বাড়ি উত্তরদিনাপুর জেলায়। ধৃতদের নাম রাজিবুল শা, মঞ্জয় আলম এবং জয়নুল আলি। রাজিবুলের সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই নাবালিকার।