বাবুপাড়ার বাসিন্দা সৌমিকের ২০২০ সালে পায়ে মারণ রোগ ক্যানসার বাসা বাঁধে, এরপর অপারেশন করে পায়ের অংশ বাঁধ দিয়ে পাত বসানো হয় ওই পায়ে। পরবর্তীকালে আবারও ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারিতে স্কুটি দুর্ঘটনায় চিরতরে পা হারাতে হয় বছর ২২ এর ওই যুবককে।
ক্যানসার ধরা পড়ার কারণে প্রায় ৬টি কেমো এবং ৩২ টি রেডিয়েশন নিতে হয়েছিল তাঁকে। তবুও কোনও ভাবেই এই অসম লড়াইয়ে হার মানেননি গোবরডাঙার এই যুবক। জীবনের নানা পাপপুণ্যের হিসেবকে সঙ্গী করেই অবশেষে শ্রীরামচন্দ্রের এই ঐতিহাসিক মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে গোবরডাঙা স্টেশন এলাকার রাম মন্দির থেকে প্রণাম করে সুদূর অযোধ্যার রাম মন্দির এর উদ্দেশে যাত্রা করলেন সৌমিক।
advertisement
আরও পড়ুন: মিশন চব্বিশ! ৩৫ আসনের লক্ষ্যপূরণে একাধিক বড় সিদ্ধান্ত..বৈঠক শেষে কী ঠিক করল বঙ্গ বিজেপি?
আরও পড়ুন: চিরতার জল খেলে কি সত্যিই কমে সুগার? স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞ, জানুন পুরো কথা
তাঁর শারীরিক অক্ষমতা ভুলে মানসিক জোরেই আজ এই সিদ্ধান্ত রীতিমতো অবাক করেছে গোবরডাঙাবাসীকে। তাঁকে সাহায্যের জন্য তার এক বন্ধুও সৌমিকের সঙ্গে পাড়ি দিচ্ছেন অযোধ্যায়। এদিন গোবরডাঙা হাবড়া হয়ে কল্যাণী দুর্গাপুর আসানসোল দিয়ে যাত্রা করে ঝাড়খণ্ড বিহার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছবেন সৌমিক। ১১ দিনের এই যাত্রায় প্রতিদিন প্রায় ৮০-৯০ কিমি করে সাইকেল চালাতে হবে তাঁকে। পথে বিভিন্ন মন্দির, পুলিশ থানা, পেট্রোল পাম্পেই রাত্রি কাটাবেন বলে জানান। গোবরডাঙার যুবকের এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত গোবরডাঙাবাসীরা সহ রাম ভক্তেরাও।
Rudra Narayan Roy





