তবে এখন দিল্লি ক্যাপিটালস এর হয়ে ওম্যান প্রিমিয়ার লিগে মেয়ের দলের খেলা টিভির পর্দায় দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পরিবার, পরিজন সহ এলাকাবাসীরাও। তবে অপর্ণার লক্ষ্য একদিন ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে জড়িয়ে ক্রিকেট ময়দানে নামার। বর্তমানে ইন্ডিয়ান রেলওয়েতে কর্মরত সে, চেন্নাইয়ে পোস্টিং তার। কিন্তু এখন, দিল্লি ক্যাপিটালস টিমের অতিরিক্ত উইকেট কিপার হিসেবে দলে রয়েছে বাংলার এই মেয়ে। মধ্যমগ্রামের মেয়ে অপর্ণার ২২ গজের লড়াইটা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই।
advertisement
পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় পড়তে হয় নানা সমস্যায়। তবে অপর্ণার জেদ, কঠিন লড়াই, নিজেকে প্রমাণ করার অদম্য ইচ্ছা আজ এই সাফল্য এনে দিয়েছে তাকে। বাবা দিলীপ কুমার মন্ডল পেশায় ছোটখাটো ব্যাবসায়ী, দুই মেয়ের মধ্যে অপর্ণা ছোট। মধ্যমগ্রামেই জন্ম অপর্ণার। ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করে তার পরিবার। মধ্যমগ্রাম গার্লস স্কুলে পড়াশোনা, স্কুলেও খেলাধুলায় তার সুনাম ছিল। শুরুটা হয়েছিল পাড়ায় ব্যাট আর প্ল্যাস্টিকের বল নিয়ে। ১২ বছর বয়সে প্রথম মেয়ের খেলার প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করে কলকাতার একটি নামী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে তাঁর পরিবার।
কলকাতায় অনুশীলনের বছর দুয়েকের মধ্যেই বেঙ্গলের জুনিয়র টিমে সুযোগ আসে অপর্ণার। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও উইকেট কিপার অপর্ণা মন্ডলকে। পরবর্তীতে বেঙ্গলের সিনিয়র টিমে, তারপরে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে টিমে সুযোগ এর পাশাপাশি ২০২০ সালে ভারতীয় রেলে চাকরি মেলে অপর্ণা মন্ডলের। তারপর তামিলনাড়ুর হয়ে খেলা, আর এবার তাঁকে দেখা যাচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালস এর হয়ে ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগে।
এখন মধ্যমগ্রাম সহ জেলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষজন চান অপর্ণার হাত ধরেই চাম্পিয়ান হোক দিল্লি ক্যাপিটালস, মহিলা ক্রিকেটে নজির গড়ুক এই বঙ্গ তনয়া। আগামীতে ইন্ডিয়ার জার্সিতেও সাফল্য ধরা দেবে অপর্ণার কাছে, এমনটাই আশা ক্রীড়াপ্রেমী মহলের।
Rudra Nrayan Roy