রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী মহারাজদের উপস্থিতিতে আমেরিকার শিকাগোর আর্টস ইনস্টিটিউশনের আদলে নির্মিত এই বিবেক তীর্থের উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আপাতত প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হল। আগামীতে এই বিবেক তীর্থের আরও সম্প্রসারণ ঘটবে বলে জানা গিয়েছে।
উদ্বোধন করার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, "নিউ টাউন শহরে তথ্য প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তেমনই গড়ে উঠেছে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত একাধিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নিউ টাউনে যে বিবেক তীর্থের সূচনা হল তা সবার থেকেই অনন্য। কারণ এটা মানসিক উৎকর্ষ ও সমাজ বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র।"
advertisement
আরও পড়ুন: উৎসবে মেতেছে অশোকনগর, ব্যাপক হৈ হৈ কাণ্ড
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া নিউ টাউনের ৫ একর জমির উপর ১২ তলা বিশিষ্ট ওই বিবেক তীর্থ গড়ে উঠেছে। গোটা ওই ভবন জুড়ে পড়াশোনার জন্য কক্ষ ছাড়াও ভাষা চর্চা, গ্রন্থাগার, কম্পিউটার রুম, প্রদর্শনশালা সহ শিক্ষা ও মানব উৎকর্ষ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নানান খুঁটিনাটি বিষয়। এই বিবেক তীর্থের ভেতরে পৃথকভাবে আছে মিশনের কর্মচারী, সন্ন্যাসী ও অতিথিদের থাকার জায়গা। রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে খবর, ২০১৪ এর নভেম্বর মাসে এই ভবনটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার কয়েক ধাপে এর জন্য ২০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিবেক তীর্থ গড়তে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২৫ কোটি অর্থ খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে খবর, বিবেক তীর্থের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হয়ে গেলেও, ভবনটি পুরোপুরিভাবে গড়ে উঠতে এখনও কিছুটা কাজ বাকি আছে। সেই নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরও ২৫ কোটি টাকা দরকার। তবে দ্রুত সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে রামকৃষ্ণ মিশনের কর্তা ব্যক্তিরা আশাবাদী। অনেকের মতে এই বিবেক তীর্থের হাত ধরে নিউটাউনের মানুষ আরও একটি দর্শনীয় স্থান পেলেন।
রুদ্রনারায়ণ রায়