গ্রামবাসীদের দাবি, বহুদিন ধরে ওই ফ্যাক্টরির চিমনি থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ছাই উড়ে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সমস্ত ব্যক্তির নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি ওই বিষাক্ত ধোয়া চোখে ঢুকে চোখেও সংক্রমনে সৃষ্টি হচ্ছে। অসহ্য এই জ্বালা সহ্য করতে না পেরে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই তাদের বাস্তুভিটে ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়ার কারণে কৃষিপ্রধান ওই অঞ্চলের প্রচুর ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। এলাকার বিভিন্ন সব্জি ও ধানের ফলন কমে গিয়েছে বলেও দাবি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শহরের রাস্তা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে আভিজাত্যের প্রতীক পায়ে টানা রিক্সা!
এছাড়াও ওই ফ্যাক্টরির মাটির তলা থেকে একটি নিকাশী পাইপের মাধ্যমে উৎপাদিত বর্জ্য ইছামতি নদীর সঙ্গে সংযোগকারী শরৎ খালে ফেলা হচ্ছে। ফলে সেই খালের জলে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। ওই খালের থেকে মাছ ধরে স্থানীয় অনেক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু রাসায়নিক বর্জ্য খালের জলে পরার ফলে মাছের মড়ক লেগেছে। ফলে জীবিকা নিয়ে সংকটে পড়েছে বেশ কিছু মৎস্যজীবী। এই খালের জলে স্নান করার ফলে অনেকের চর্মরোগও দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সংস্কারের প্রয়োজনে এক মাস বন্ধ থাকবে গুরুত্বপূর্ণ এই উড়ালপুল
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের দাবি, এই দূষণের ফলে জলে বায়ো অক্সিজেন ডিমান্ডের মাত্রা বাড়ছে ফলে জলে থাকার সমস্ত মাছ সহ জীব জন্তু মারা যাচ্ছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও, কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যদিও সংগ্রামপুর-শিবহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় সরকার বলেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগে মানুষ তারপরই কারখানা। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায় তারা সমস্ত অনুমতি নিয়েই এই কাজে নেমেছে। গ্রামবাসীরা দাবি করছেন অবিলম্বে এই কারখানা বন্ধ করার। যাতে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় থাকে এলাকার।
Rudra Narayan Roy