মাসখানেক আগে আমডাঙার বেড়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতের বিজয়পুরে এক ব্যবসায়ী মদের দোকান খোলেন। নিয়মমাফিক রাজ্য সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে তিনি মদের দোকান খুলেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে গোড়া থেকেই এই মদের দোকানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, এলাকায় মদের দোকান হলে বাড়ির ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়বে। বিশেষ করে কম বয়সী ছেলেদের মধ্যে মদ্যপানের প্রবণতা বাড়বে বলে দাবি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: সীমান্তে বসবাসকারীদের খেয়াল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ বিএসএফের
ওই মদের দোকান খোলার সময় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস এবং থানায় চিঠি লেখেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, চিঠি লিখে আগেই সমস্ত ঘটনা জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ওই মদের দোকানে মালিকের সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই ব্যবসায়ী কোনও কথাই শুনতে চাননি বলে অভিযোগ। গ্রামের মহিলাদের দাবি, ওই ব্যবসায়ী তাঁদের বলেন, তিনি সরকারের কাছ থেকে সমস্ত অনুমতি নিয়েই ব্যবসা শুরু করেছেন। তাই এলাকার ছেলেদের মধ্যে এর ফলে মদ খাওয়ার প্রবণতা বাড়বে কিনা তা নিয়ে তিনি ভাবিত নন। দরকারে গ্রামবাসীরা তাঁদের বাড়ির ছেলেদের সামলানোর চেষ্টা করুন, এমন মন্তব্যও ওই ব্যবসায়ী করেন বলে অভিযোগ।
ওই ঘটনার পর থেকেই ক্ষুদ্ধ ছিলেন এলাকার মানুষ। বিশেষ করে মহিলারা বারবার ওই মদের দোকান বন্ধ করার দাবিতে সরব হন। এদিন ক্ষুদ্ধ মহিলারা মদের দোকানে তালা মেরে স্থানীয় নীলগঞ্জ রোড অবরোধ করেন। উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা এই নীলগঞ্জ রোড। সেটি দীর্ঘক্ষণ অবরোধ হয়ে থাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ছুটে আসে আমডাঙা থানার পুলিশ। এরপর অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের অনুরোধ করা হয়। পুলিশ আশ্বস্ত করে, এলাকার মানুষের অমত থাকলে কোনভাবেই এই মদের দোকান চলবে না। এই আশ্বাস পাওয়ার পরই মহিলারা অবরোধ তুলে নেন।
জিয়াউল আলম