গায়ত্রীর পাশে থেকে তার বাবার চিকিৎসার দায়ভার নিলেন শুধু তাই নয়, দিদির পুলিশে চাকরির ইচ্ছাপূরণের জন্যও তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
পাশাপাশি নবম শ্রেণীর গায়ত্রী হালদারের পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোন রকম যাতে সমস্যা না হয় সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তাতেই যেন ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছে অসহায় এই হালদার পরিবার৷
advertisement
বারবার সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, গায়ত্রী সহ তার মা কৃষ্ণা হালদার। ইতিমধ্যেই বহু সংগঠনের তরফ থেকেও গায়ত্রীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে৷
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর আগে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে বাবা অলক হালদার শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ায়, সংসারের হাল ধরতে জেদ করেই টোটো চালানো শুরু করে গায়ত্রী। কোনও রকমের টালির চাল দেওয়া বাড়িতে অসুস্থ বাবা, মা ও দিদিকে নিয়ে সংসার গায়েত্রীর। শুধু সংসারের হাল ধরাই নয়, পাশাপাশি দিদির পুলিশ হওয়ার ইচ্ছাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে বোন হয়ে দিদির পাশে দাঁড়ায় গায়ত্রী।
তারপর থেকেই, প্রতিমুহূর্তে প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে গায়ত্রীকে এগিয়ে যেতে হয় টোটো নিয়ে। প্রথম অবস্থাতে নানা বিদ্রুপ, কটুক্তির শিকার হতে হয়েছে ছোট্ট মেয়েটিকে। তবে তার লড়াই এর কাছে আজ মাথা নত করতে হয়েছে সকলকে, এখন টোটো স্ট্যান্ডের সকলেই এমনকি পাড়া-প্রতিবেশীরাও সব রকম ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বছর ১৫-র টোটো চালক গায়ত্রীকে। স্থানীয় ঢাকুরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাও আজ তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
গায়ত্রী টোটো চালানোর পাশাপাশি করুক পড়াশোনা আর তার জন্যই সর্বতোভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। আক্ষেপ ভুলে আজ গায়েত্রীর মুখে ফুটেছে হাসি কারণ বন্ধু-বান্ধবরাও এখন কথা বলছে গায়ত্রী সঙ্গে। তাই আগের ছবি এখন অনেকটাই গিয়েছে বদলে। আর তাতেই খুশি বছর ১৫-র এই লড়াকু মেয়ে। বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সাংসদ পাশাপাশি বহু সংস্থা নানাভাবে পাশে থাকায় আজ অনেকটা হলেও বল পাচ্ছে ছোট্ট মেয়েটি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল খবরের জেরে টোটো চালক গায়ত্রী যেন আজ সমাজে লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তবে মানসিকভাবে একা হওয়া গায়ত্রীর আজও প্রকৃত বন্ধু সেই টোটো-ই। আগামী দিনে কতটা বদলায় হালদার পরিবারের এই দুর্দশার চিত্র সেদিকেই নজর থাকবে রাজ্যবাসীর।
Rudra Narayan Roy