আরও পড়ুন: বাবার শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এলেন মেয়ে! কাটুম কুটুম শিল্পে নতুন মুখ উপাসনা
এরপর অশোকনগরের আরও অন্যান্য জায়গায় ওএনজিসি-এর তরফ থেকে খনিজ তেলের সন্ধান শুরু হয়। পরবর্তীকালে দৌলতপুর , ভুরকুন্ঠা সহ আরও অন্যান্য জায়গায় তেল থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দৌলতপুরেও দ্বিতীয় কেন্দ্র গড়ে তোলে ওএনজিসি। তবে ইতিমধ্যে প্রথম কেন্দ্র বাইগাছির কাজ বন্ধ আছে। যদিও কাজ বন্ধ থাকলেও কোটি টাকা ব্যায় করে সুদীর্ঘ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে গোটা এলাকা। তবে হাবড়া-নৈহাটি রোড থেকে ওএনজিসি কেন্দ্রে পৌঁছনোর রাস্তার অবস্থা বেহাল। রীতিমত জলকাদা জমে চলার অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা এখন আর ওএনজিসি’র প্ল্যান্ট দেখতে যেতে পারছেন না।
advertisement
এদিকে বাইগাছির তেল খনন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ভুরকুন্ডা প্ল্যান্টে কাজ চলার কারণে ওএনজিসির কর্মীরা সেখানেই ব্যস্ত রয়েছেন। এখন সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তেলের সন্ধান চালাচ্ছে ওএনজিসি। ডিসেম্বরের পর থেকে আবারও বাইগাছি কেন্দ্রে কাজ শুরু হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বেহাল রাস্তা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে কর্তৃপক্ষের কপালে। মেশিন ও বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ পড়ে থাকলেও বাইগাছি কেন্দ্রে দেখা মিলল না কোনও ওএনজিসি কর্মীর। দৌলতপুরেও তেমনভাবে কাজ চোখে পড়ছে না বলেই জানান স্থানীয়রা। তবে অশোকনগর বিধানসভার ভুরকুন্ডা এলাকায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে ওএনজিসি। ফলে আবারও সেই জায়গায় মিলতে পারে তেলের খনির সন্ধান বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা। তবে অশোকনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় খনিজ তেল ও গ্যাসের সন্ধান মিললেও কবে থেকে বাণিজ্যিকভাবে সেই তেল উত্তোলন করা হবে সেই উত্তর এখনও অধরা।
রুদ্রনারায়ণ রায়