মাটিয়ার কচুয়া গ্রামে বাড়ি শিখা সাঁপুইয়ের। তাঁর বয়স ৬৩ বছর। স্বামী তারাপদ সাঁপুই অবসরপ্রাপ্ত বাস কন্ডাক্টর। হাড়োয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃদ্ধা শিখাদেবীর গলব্লাডারের এই বিরল অস্ত্রোপচার হয়। গোটা ঘটনায় চিকিৎসকরাও হতবাক।
জানা গিয়েছে শিখা সাঁপুই নামে ওই বৃদ্ধা গত এক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। এদিকে পারিবারিক তেমন একটা রোজগার না থাকায় চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে হাড়োয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। এরপর চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। ওই বৃদ্ধার পিত্তথলি থেকে তাঁরা ২৫৪৫ টি পাথর বের করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিখাদেবীর পেট থেকে বের করা পাথরের ওজন প্রায় ১৭০ গ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: ওদের জীবনে হাতেখড়ি নেই, উৎসব ভুলে চা-ফুল তুললে তবেই মেটে পেটের খিদে!
ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ওই রোগী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। রোগীর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত বাস কন্ডাক্টার তারাপদ সাঁপুই জানান, একেবারে সামান্য কিছু অর্থ তাঁরা দিয়েছিলেন। তাই দিয়ে মূলত ওষুধ কেনা হয়েছে। বাকিটাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে হয়েছে। জানা গিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার বেশ বিরল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোটা বিশ্বেই এই ধরনের পাথর উদ্ধার হওয়ার ঘটনা হাতেগোনা কয়েকটি মাত্র ঘটে। তাঁরা সফলভাবে ওই রোগীর অস্ত্রোপচার করতে পারায় খুশি বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
জুলফিকার মোল্লা