পরিবার সূত্রে জানা যায়, অন্য দিনের মতো এদিনও পরিবারের সকলের সঙ্গেই সকাল থেকে কাটিয়েছিলেন মা ও ছেলে। বিকেলেই ঘটে ছন্দপতন। বন্ধ ঘরে মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে অশোকনগর হাসপাতালে আনা হলেও শেষ রক্ষা হল না। অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন মা ও ছেলেকে। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে , ৪০ ঊর্ধ্ব বয়স প্রমিত বিশ্বাস ও তাঁর মা ৬৭ বছর বয়সী সুনন্দা বিশ্বাস বিরার বাসিন্দা।
advertisement
আরও পড়ুন: এলাকার দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি, গুলিবিদ্ধ ১
প্রমিত বিশ্বাস মানসিকভাবে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও, নিয়মিত স্কুলের শিক্ষকতা করতে যেতেন। মাঝেমধ্যে অসামঞ্জস্য ব্যবহার দেখা যেত তাঁর। তবে সহকর্মীরা তাঁকে মানিয়ে নিতেন বলেই জানা যায়। সুমিতের মা সুনন্দা দেবীও একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। দু'জন উচ্চ শিক্ষিত মানুষের এমন আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। তবে কী মানসিক অসুস্থতার জেরেই মাকে মেরে আত্মঘাতী হলেন ছেলে!
আরও পড়ুন: স্কচ সিলভারে পুরস্কৃত উৎসশ্রী পোর্টাল, খুশির হাওয়া স্কুল শিক্ষা দফতরে
গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। তবে এই মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য অন্য প্রশ্ন তুলছেন। মানসিক এ ধরনের সমস্যার লুকিয়ে কী ভাবে এতদিন ছোট ছোট শিশুদের সঙ্গে শিক্ষকতা করছিলেন মৃত ওই শিক্ষক। যদিও গোটা ঘটনায় স্কুলের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রুদ্র নারায়ণ রায়