তালপাতার হাতপাখাই আগে ছিল বিদ্যুৎ চালিত ফ্যানের বিকল্প। গত কয়েক বছর ধরে কম দামের প্লাস্টিকের হাতপাখা বাজারে ছেয়ে গিয়েছে। সস্তা এই পাখার বিক্রিও বেড়েছে। বসিরহাটের পাখা শিল্পীদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। দেবীপুর-সহ বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় প্লাস্টিকের তৈরি হাতপাখা তৈরির কারখানা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইলিশ নিয়ে এ কী ঘটছে! তোলপাড় বাজারে
advertisement
তাল গাছ কমে যাওয়ায় তালপাতার পাখা ইদানীং কমছে। সেই বাজার দখল করেছে প্লাস্টিকের হাতপাখা। ‘সানপ্যাক’ প্লাস্টিক বোর্ড কেটে তৈরি হয় পাখা। কলকাতা থেকে প্লাস্টিক বোর্ড কেনেন ব্যবসায়ীরা। তা থেকে মূলত ১০ ইঞ্চি এবং ৬ ইঞ্চি মাপের দু’ধরনের পাখা তৈরি হয় কারখানায়। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটারে ডিজাইন করে সিল্ক স্ক্রিন পদ্ধতিতে হাতপাখার উপরে সিনেমার হিরো-হিরোয়িনদের ছবির পাশাপাশি ফুল-লতাপাতার ছবি ছাপা হয়। প্লাস্টিক প্রস্তুতের পর পাখা তৈরির শেষ পর্যায়ে লাগানো হয় বাঁশের চটার হাতল। বাড়ির মহিলারাও এই কাজে হাত লাগান।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনা চিকিৎসকের সঙ্গে লিভ-ইনের পর চরম পরিণতি মেয়ের! খুনের অভিযোগ মায়ের
প্লাস্টিকের পাখার দাম তালপাতার পাখার চেয়ে অনেকটাই কম এবং টেকসই অনেক বেশি। ফলে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে এই প্লাস্টিকের পাখার। গ্রীষ্মের আগেই পাখার জোগান দিতে হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সেই কারণে হাতপাখা তৈরি করতে কর্মব্যস্ততায় বসিরহাটের হাতপাখা শিল্পীরা। তাঁদের তৈরি এই হাত পাখা রাজ্য পেরিয়ে বিহার-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
জুলফিকার মোল্যা