জেলায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনা। ফলে প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে পর্যটকদের এলাকা থেকে চলে যেতে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই টাকি পৌরসভায় যে সাতটি বাজার আছে সেগুলি পালা করে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন (North 24 Parganas News)। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে বারণ করা হচ্ছে।
টোটো চালক থেকে শুরু করে নৌকার মাঝি এমনকি, ছোটখাটো ব্যবসা থেকে শুরু করে হোটেল মালিকরা এই সময়ে উপার্জন করে সারা বছর জীবিকা নির্বাহ করে৷ বাচ্চাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সংসার চালানো, সবটাই নির্ভর করে এই কয়েক মাসের উপার্জনের উপর। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় আসছেন না পর্যটকরা (North 24 Parganas News)। ছোটখাটো ব্যবসায়ী থেকে হোটেল মালিকদের তাই এবার মাথায় হাত৷ অসহায় অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের৷
advertisement
পৌর প্রশাসক সোমনাথ মুখার্জী জানিয়েছেন, "আমরা পর্যটন কেন্দ্রগুলি ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে চালাতে বলেছি, করোনার বিধিনিষেধ মানতে কিছু নিয়ম আরোপ করা হয়েছে। সেগুলি মানতেই প্রশাসনের তরফ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।" হোটেল ব্যবসায়ী প্রতুল ঘোষ জানান, "এই তিন মাস আমাদের পর্যটন কেন্দ্রে যেসব পর্যটকরা আসে, তাদের উপর নির্ভর করে অনেকটা। বাকি বছরটা এই আয়ের উপর দিয়েই চলে৷ কিন্তু প্রশাসন সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র গুলি পর্যটকের আসা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে, ফলে আমদের অবস্থা এখন খুবই দুর্বিষহ।" কবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় এখন সে দিকেই তাকিয়ে বসিরহাট এলাকার ব্যবসায়ীরা।
Rudra Narayan Roy