থেকেও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে প্যাডেল চালিত ভ্যানরিক্সা। টোটোতে চড়ে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যায় সে কারণে কেউ এখন প্যাডেল চালিত ভ্যানরিক্সায় তেমন একটা চড়তেই চান না। এক সময় কদর ছিল। চাহিদাও ছিল তুঙ্গে, বিভিন্ন সামগ্রী এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য প্যাডেল রিক্সার কোন বিকল্প যেমন ছিলনা, তেমনি অল্প দূরত্বের কোথাও যেতে হলে ভরসা ছিল এই প্যাডেল রিক্সা। বর্তমানে ব্যাটারি চালিত তিনচাকার টোটোর দাপটে অনেকেটাই পিছিয়ে গিয়েছে পায়ে টানা রিক্সা।
advertisement
আরও পড়ুন: এ যেন উল্টো স্রোতে হাঁটা! হারিয়ে যাওয়া কাঠের খেলনাকে ফিরিয়ে আনছেন প্রফুল্ল সূত্রধর
কয়েক বছর আগেও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় মোড়ে মোড়ে দেখা যেত সারিবদ্ধ হয়ে ভ্যান রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে। বসিরহাট, বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জের মতো বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই প্যাডেল চালিত ভ্যান রিক্সাই ছিল প্রধান অবলম্বন। কিন্তু এখন সেই জায়গাটা দখল করে নিয়েছে আধুনিক যান টোটো। এটি বৈদ্যুতিন ব্যাটারিতে চালায় পরিবেশ দূষণের আশঙ্কাও কম। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় জীবিকার সঙ্কট দেখা দিয়েছে ভ্যান রিক্সা চালকদের।
পরিস্থিতির চাপে পড়ে সুন্দরবনের বহু ভ্যান রিক্সা চালক টোটো কিনে নিয়েছেন। কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে যারা পেশা বদলাতে পারেনি। সেই সমস্ত ভ্যান রিক্সা চালকদের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। কী করবেন, আগামী দিনে কীভাবে সংসার চালাবেন তাঁরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
সুন্দরবনের ভ্যান রিক্সা চালকদের অবস্থা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে প্রতিদিন ভাড়াও জোটে না। এমন বহুদিন যায় সারাদিন রাস্তায় কাটানোর পর দিনের শেষে ফাঁকা পকেটে শুকনো মুখে বাড়ি ফিরে আসতে হয়। মুখের দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলেন স্ত্রী। সন্তানদের মুখে দু’মুঠো পেট ভরা খাবার তুলে দেওয়া সম্ভব হয় না
জুলফিকার মোল্লা