সূর্যই হল এদের সময় নির্ধারণের ঘড়ি। সুন্দরবনের মধু মাত্র তিনমাস পাওয়া যায়, কিন্তু এইভাবে চাষ করে মধু বছরের চার মাস বাদ দিলে সারাবছরই পাওয়া যায়। পাশাপাশি, মৌমাছি পালন করে শুধু মধু সংগ্রহ নয়, মৌমাছিও বিক্রি করা হয়। এছাড়াও মোম, মৌমাছির বিষ থেকে তৈরি হয় ওষুধ। মৌমাছি ভর্তি এক একটা বাক্স অফ সিজিনে দাম ওঠে সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর সিজিনে, তা সাড়ে চার হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। যে কেউ এই চাষ করতে পারেন, তবে তার আগে প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি।এক এক এলাকায় মধুর স্বাদ এক রকমের হয়। যে এলাকায় যেমন ফুল, সেখান থেকে তেমন মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভয়ঙ্কর! গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মাঝে ভাঙ্গা কালভার্ট! নীলগঞ্জ রোডে যেন মৃত্যুর ফাঁদ
তাই এলাকা বিশেষে মধুর রঙ ও স্বাদ হয় সম্পুর্ন আলাদা। যেমন লিচি হানি সব থেকে সুস্বাদু, রঙ একেবার হালকা লাল। এছাড়াও, তিল, সরষে, ইউক্যালেপটাস সহ নানান স্বাদের মধু পাওয়াযায়। বছরের জুন মাস থেকে মধু সংগ্রহ করা বন্ধ করে দেওয়া হয় সেপ্টেম্বর অক্টোবর পর্যন্ত। কারণ এইসময়ে বর্ষা চলে। ফলে মৌমাছে সেভাবে বাইরে থেকে মধু সংগ্রহ করতে পারে না। এইসময় বাক্সের ভিতরেই মৌমাছিদের খাবার দেওয়া হয়। খাবার হিসাবে মধু জল চিনি এবং লেবু মিশিয়ে সেই মিশ্রণ গ্লাসে করে প্রতিটা বাক্সে দিয়ে রাখতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুকে ফাঁদ পেতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! পুলিশের জালে চক্রের মূল পান্ডা
তবে, আসল মধু চিনবেন কি করে? আসল মধু হলে সেই মধু কিছুদিন থাকার পরই জমাট বাধতে থাকবে বলে এই মৌ পালন সংস্থা তরফ থেকে জানানো হয়। পাশাপাশি মধুর স্বাদ অনুভব করলেও অনেকটা বোঝা যাবে। মৌমাছি পালনে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। এই ব্যবসা করে উপার্জন ও ভালই করা যায়। কিন্তু, তার জন্য সঠিক প্রশিক্ষনের অবশ্যই প্রয়োজন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মৌ-পালন করে বহু মহিলারাও আজ স্বনির্ভর।
Rudra Narayan Roy