এমনই এক মন্দির হল উত্তর ২৪ পরগনার টাকির কুলেশ্বরী কালী মন্দির। বসিরহাট মহকুমার টাকি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই মন্দির। যদিও বর্তমানে এই মন্দিরটি নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। কথিত আছে বহুবছর আগে ইছামতীতে জেলেদের জালে উঠে এসেছিল সুন্দর নকশা করা ঘট। সেকথা জানতে পারেন টাকির জমিদার রায়চৌধুরীরা। জমিদার গিন্নি সেই রাতেই স্বপ্ন দেখেছিলেন, চালাঘর তৈরি করে ঘটটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খড়, বিচালি, গোলপাতা দিয়ে মাটির দেওয়ালের মন্দির বানিয়ে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: সহজ পদ্ধতিতে বাড়ি থেকে তাড়ান টিকটিকি! রান্না-ঘরের মশলা দিয়েই হবে ম্যাজিক! জানুন
নদীর কূল থেকে ঘটটি পাওয়া গিয়েছিল বলে মন্দিরের নাম হয় কুলেশ্বরী কালীবাড়ি। আবার কেউ বলেন, কোনও সাধক ইছামতীর পাড়ে মা কালীর সাধনা করেন এবং সেই ঘট নদীর পাড়ে পড়েছিল। এরপর টাকির জমিদারকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন ওই ঘট প্রতিষ্ঠা করার। তখনই টাকির জমিদার কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। নাম দেওয়া হয় কুলেশ্বরী কালীমন্দির। কারণ, নদীর কুলেই এই মন্দিরের ঘট পাওয়া গিয়েছিল। ৪০০ বছর ধরে এখানে চলে নিত্যপুজো ও অন্নভোগ। বছরের বিশেষ তিথিতে এই মন্দিরে বড় আকারে পুজো করা হয়। একটা সময় এই পুজোয় কামান দাগা হত। বলি হত শতাধিক পাঁঠা ও মোষ। বর্তমানে এখানে মোষবলি বন্ধ হলেও চালু আছে পাঁঠাবলি। হাসনাবাদে টাকির এই কুলেশ্বরী কালী মন্দিরের পুজো দেখতে আজও ভিড় করেন অগণিত ভক্ত। কারণ, ভক্তরা বিশ্বাস করেন দেবী এখানে অত্যন্ত জাগ্রত।
জুলফিকার মোল্যা