যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার জন্য কিছুদিন আগে হোস্টেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সবাইকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়। বারবার বারণ করা সত্বেও বেশ কিছু আবাসিক জোর করে থাকছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের হোস্টেলে (North 24 Parganas News)। তাদেরকে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল হোস্টেল ছাড়ার জন্য। তারপরেও বিষয়টা গুরুত্ব না দেওয়ায়, পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সে কারণেই এদিন সন্ধ্যায় দুটি হোস্টেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
advertisement
এই মুহুর্তে আলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের ছেলেদের হোস্টেলে তিরিশ জন ছাত্র এবং মেয়েদের হোস্টেলে আটজন ছাত্রী রয়েছে (North 24 Parganas News)। ভিন রাজ্যের পাশাপাশি কয়েকজন বাংলাদেশী পড়ুয়ারাও আছেন। আদিল আলম এমসিএর এক ছাত্র বলেন, "আমরা কয়েকজন খুব অসুবিধার মধ্যে পড়ে এখানে আছি।আমাদের অনেকেরই ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা আছে।কেউ কেউ আবার পিএইচ ডি স্কলার আছে। হঠাৎ করে আলো বন্ধ করে দিয়ে হোস্টেলের চেয়ারম্যান যে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাঁর জন্য আমরা ওনার পদত্যাগ দাবি করছি। সোমবার এই নিয়ে আন্দোলন করব আমরা।" অপরদিকে, আলিয়ার হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা কাজী মহম্মদ আলফ্রেড বলেন, "আমরা যথেষ্ট সহানুভূতিশীল ছেলে-মেয়েদের প্রতি। চারিদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বারবার হোস্টেল ছাড়ার জন্য ওঁদের কে বলছিলাম। ওঁরা সেটা কর্ণপাত করেনি। যাইহোক, ওদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আরও কয়েকদিন থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।" এরপর ছাত্রছাত্রীরা কী পদক্ষেপ নেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Rudra Narayan Roy